চট্টগ্রামের পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগের ‘পিসিআইইউ মিডিয়া ক্লাব’র দ্বিতীয় কার্যনির্বাহী পর্ষদের নির্বাচন শেষ হয়েছে। এতে সভাপতি পদে রবিন দাশ গুপ্ত এবং সাধারণ সম্পাদক পদে প্রান্ত চৌধুরী নির্বাচিত হয়েছেন। নির্বাচনে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দিয়েছেন মিডিয়া ক্লাবের ভোটাররা। এই ভোট প্রক্রিয়া অনেক ভোটারের জন্য ছিল প্রথম।
বিভাগের শিক্ষকরা বলছেন, এই নির্বাচন শিক্ষার্থীদের গণতান্ত্রিক মনোভাব বৃদ্ধি করার পাশাপাশি মানসিকভাবে মজবুত করবে।
মঙ্গলবার (৬ মে) দুপুর আড়াইটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে হল রুমে টানটান উত্তেজনাপূর্ণ এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
নির্বাচনে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে চারজন করে মোট আটজন প্রার্থী অংশ নেন।
সভাপতি পদে ৪৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন বিভাগের ২৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী রবিন দাশ গুপ্ত। সাধারণ সম্পাদক পদে ৪৪টি ভোট নির্বাচিত হন একই ব্যাচের শিক্ষার্থী প্রান্ত চৌধুরী। আগামী আট মাসের জন্য দায়িত্বে থাকবে নির্বাচিতরা।
নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মানবিক, সমাজবিজ্ঞান ও আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক মাঈনুল হাসান চৌধুরী। প্রিজাইডিং অফিসারের দায়িত্বে ছিলেন ইতিহাস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আতাউস সামাদ রাজু এবং সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জুয়েল দাশ।
নির্বাচন চলাকালে মিডিয়া ক্লাবের প্রধান উপদেষ্টা ও বিভাগীয় চেয়ারম্যান দিলরুবা আক্তার, উপদেষ্টা সিনিয়র লেকচারার প্রশান্ত কুমার শীল, লেকচারার আকিব-উল-ওয়াদুদ আলম, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রাশেদ খান মিলন এবং কর্মকর্তা নূরে আলম উপস্থিত ছিলেন।
বিকাল ৫টায় ভোট গণনা শেষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ফলাফল ঘোষণা করেন।
নবনির্বাচিত সভাপতি রবিন দাশ গুপ্ত ও সাধারণ সম্পাদক প্রান্ত চৌধুরী জানান, বিভাগের শিক্ষার্থীদের সাংবাদিকতা ও যোগাযোগ বিষয়ে দক্ষতা বৃদ্ধিতে তারা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করবেন। পাশাপাশি পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নয়ন করে সবাই মিলে এক পরিবারের মতো ঐক্যবদ্ধভাবে পথচলা নিশ্চিত করবেন।
নির্বাচনে ১০২ জন নিবন্ধিত ভোটারের মধ্যে ৯৩ জন ভোট প্রদান করেন। ভোটার উপস্থিতির হার ছিল ৯১ দশমিক ১৮ শতাংশ।
মিডিয়া ক্লাবের প্রধান উপদেষ্টা দিলরুবা আক্তার বলেন, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। এ ধরনের নির্বাচনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভোট প্রদানের সংস্কৃতি গড়ে উঠবে। ক্লাবের নতুন নেতৃত্ব বর্তমান শিক্ষার্থীদের দক্ষতা উন্নয়নে কাজ করবে বলে অঙ্গীকারবদ্ধ। আশা করছি তারা সকলকে সাথে নিয়ে মিডিয়া ক্লাবকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
এমএ/ডিজে