পা দিয়ে লিখে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহন করা শারীরিক প্রতিবন্ধী সেই রাব্বি এসএসসি পরীক্ষায় পেলেন এ প্লাস। সাধারণ মানুষের মতো জন্মগ্রহণ করলেও ২০১৬ সালের অক্টোবরের ৫ তারিখ স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে গুরুতর আহত হয় সে। পরে চিকিৎসকের সিদ্ধান্তে তার দুটি হাত কেটে ফেলতে হয়।
এদিকে তার ফলাফলের খবর শুনে তার পরিবার ও এলাকাবাসী আনন্দিত। রাব্বি ভাটিয়ারী ইউনিয়নের বজলুর রহমানের ছেলে। হাজি তোবারাক আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থী ছিল সে।
বাবা বজলুর রহমান ছেলের সাফল্যে নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন, আল্লাহর দরবারে লাখো শুকরিয়া। আমার ছেলের মনোবল ও কঠোর পরিশ্রমের কারণেই এই ফলাফল। অগণিত মানুষের দোয়া ও ভালবাসা আমার ছেলের সাথে আছে।
এ বিষয়ে রাব্বি বলেন, আমি যে শারীরিক প্রতিবন্ধী সেটা কখনো আমি চিন্তা করিনি। আমার মনোবল সবসময় শক্ত ছিল। যার কারণে মানুষের দোয়া ও ভালবাসায় আমি ভালো ফলাফল করেছি। ভবিষ্যতে শিক্ষাজীবন শেষ করে আমি শিক্ষক হতে চাই।
ভাটিয়ারী হাজি তোবারক আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কান্তি লাল আচার্য্য বলেন, শারীরিক প্রতিবন্ধি হওয়ার পরেও রাব্বি অন্যান্য শিক্ষার্থীদের চেয়ে ভাল ফলাফল করায় আমরা মুগ্ধ। সে জীবনে অনেক বড় হোক এই প্রত্যাশাই করি। রাব্বির মনোবল দেখে কখনো মনে হতো না সে শারীরিক প্রতিবন্ধী। সে অত্যন্ত মেধাবী। তার মেধা, মনোবল ও মানুষের দোয়ার কারণে আজ সে এ প্লাস পেয়েছে। তাই আমি সমাজের বিত্তবানদের অনুরোধ করবো রাব্বির পড়ালেখা নিশ্চিত রাখতে তারা যেন এগিয়ে আসেন।
এমএফও