পাহাড়ে হাইব্রিড ধান চাষে কৃষকের আঙিনায় খুশির বান

পরীক্ষামূলকভাবে ব্রি হাইব্রিড ধান-৫ চাষ করা হয়

অন্য জাতের ধানের ফলন হয় হেক্টর প্রতি সর্বোচ্চ ৬ থেকে ৭ মেট্রিকটন। তবে ‘ব্রি হাইব্রিড ধান-৫’ উৎপাদন হয়েছে প্রায় ৯ মেট্রিকটন। স্থানভেদে প্রতি হেক্টরে দুই থেকে তিন মেট্রিকটন বেশি ফলন এসেছে। আর তাতেই সোনালী ধানের সাথে খুশির বান এসেছে কৃষকের আঙিনায়। আশা জাগানিয়া এ ধান চাষে সারথি হতে এখন অন্য কৃষকেরাও প্রলুব্ধ হচ্ছেন।

রাঙামাটির কাউখালী উপজেলা কৃষি অফিসের ‘পরীক্ষামূলক’ চাষে এমন সাফল্য ধরা দিয়েছে। এর মধ্য দিয়ে পাহাড়েও দারুণভাবে সফল হয়েছে ব্রি হাইব্রিড ধান-৫।

সোমবার(১৮ মে) রাঙামাটি জেলা শহর থেকে প্রায় ৩৫ কিলোমিটার দূরে কাউখালী উপজেলা সদরের পোয়াপাড়া শস্যমাঠ সরেজমিন ঘুরে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

সেখানে ব্রি হাইব্রিড ধান-৫ এর নমুনা ফসল কাটা উদ্বোধন করেন রাঙামাটি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক মো. ফজলুর রহমান।

কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট(ব্রি) এ পর্যন্ত ১০০টি ধানের নতুন জাত অবমুক্ত করেছে। এর মধ্যে ৯৫টি ‘ইনব্রিড’ এবং ৫টি ‘হাইব্রিড’। ব্রি হাইব্রিড ধান-৫ হচ্ছে সর্বশেষ আবিস্কৃত বোরো ধানের জাত। ‘পিতৃ মাতৃ সারি’ দেশীয়ভাবে উদ্ভাবিত হওয়ায় জাতটির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি। ১৪৪ দিনের জীবনকালেই পাওয়া যায় ফলনও।

কৃষক আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘কৃষি বিভাগ সাহস দেওয়ায় এই হাইব্রিড ধান চাষ করেছি। এখনতো আমারই লাভ হলো বেশি। ফলন বেশি, অনেক খুশি লাগছে।’

আরেক কৃষক গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘খরচ আর পরিশ্রমের সাথে ধানের ফলনে মাঝে মাঝেই চিন্তায় পড়ি। কিন্তু এ হাইব্রিড ধান বুকে সাহস দিচ্ছে। রিস্ক নাই, লাভও অনেক বেশি। অন্য চাষীরাও এখন আগ্রহ দেখাচ্ছে।’

অতিরিক্ত উপপরিচালক (উদ্যান) কাজী শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘মূলত সারাদেশে এ জাতটি ছড়িয়ে দিতেই পাহাড়েও পরীক্ষমূলকভাবে চাষ করা হয়েছে। আর তাতেই মিলেছে সাফল্য। পাহাড়ের আবহাওয়াতেও এ ধান স্বাচ্ছন্দ্য।’

নমুনা শস্য কাটা উদ্বোধনীতে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত উপপরিচালক(উদ্যান) কাজী শফিকুল ইসলাম, উপজেলা সহকারী কৃষি কর্মকর্তা রাশেদুজ্জামান ইমরান, তৈয়বনূর ও গোলাম মাওলাসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।

এসএ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!