পাহাড়তলীতে ড্রেনের ময়লা সড়কে, কাদা ও আবর্জনার দুর্গন্ধ

মানুষ দুষছে সিটি কর্পোরেশনকে

রাস্তার ওপর ড্রেনের ময়লা জড়ো করা। কাদা ও দুর্গন্ধে সড়কে চলা দায়। ড্রেন থেকে উঠানো ময়লা ও আবর্জনা সময়মতো রাস্তা থেকে না সরানোর কারণে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন পথচারী ও এলাকাবাসী। রোববার (২২ মার্চ) সরেজমিনে চট্টগ্রামের ৯ নম্বর পাহাড়তলী ওয়ার্ডের বিশ্বব্যাংক আবাসিক এলাকায় গিয়ে এমন চিত্র দেখা যায়। এই দুর্ভোগের জন্য সবাই দুষছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনকে।

স্থানীয়রা বললেন, ড্রেনের ময়লা রাস্তায় পড়ে আছে প্রায় দেড় থেকে দুই মাস ধরে। উঠানো ময়লাগুলো আবারও পড়ছে ড্রেনে। একদিকে আবর্জনার দুর্গন্ধে ভুগতে হচ্ছে, অন্যদিকে অযথাই টাকা নষ্ট করলো চসিক। এটা পণ্ডশ্রম ও অর্থের অপচয় ছাড়া আর কিছু নয়।

আব্দুর রহিম নামে এক শিক্ষক বললেন, ‘প্রায় দেড় মাস আগে এই ওয়ার্ডে ড্রেন পরিষ্কার করে ময়লা রাখা হয় সড়কে। দেড় মাস গত হলো, অথচ রাস্তা থেকে ময়লা সরানোর জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত করপোরেশনের ঠিকাদারের দেখা নেই। রাস্তায় উঠিয়ে রাখা ময়লায় উল্টো দুর্ভোগ বাড়ছে।’

পাহাড়তলীতে ড্রেনের ময়লা সড়কে, কাদা ও আবর্জনার দুর্গন্ধ 1

স্থানীয় কয়েকজন বললেন, লাখ লাখ টাকা খরচ করে করপোরেশন দুর্ভোগ কমানোর পরিবর্তে উল্টো জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করে। পয়নিষ্কাশনের জন্য নিযুক্ত ঠিকাদার অতিরিক্ত বিল নেওয়ার আশায় একটি কাজ শেষ না করে আরেকটি শুরু করে। এক এলাকার ড্রেনের ময়লা উঠিয়ে রাস্তাগুলোকে আর্বজনা ও কাদামাটির ভাগাড়ে পরিণত করেছে।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নিযুক্ত ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান নিফা এন্টারপ্রাইজের তত্ত্বাবধায়ক লিটন চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘ড্রেন থেকে উঠানো ময়লা ও আবর্জনা ফেলার জায়গা নেই। করপোরেশনের সব কিছু এখন বন্ধ। তারপরও চেষ্টা করছি ময়লাগুলোর সরাতে। আজ (রোববার) কিছু ময়লা সরানো হয়েছে। বাকি ময়লাগুলো সরানোর চেষ্টা করছি।’

৯ নম্বর পাহাড়তলী ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জহুরুল আলম জসিম বলেন, ‘এই ময়লা ফেলার জন্য করপোরেশনের জায়গা সংকট আছে। তাই জমে আছে। এতে স্বাভাবিক চলাফেরা বিঘ্নিত হচ্ছে স্থানীয় ও এলাকার শিক্ষার্থীদের। তারপরও বিষয়টি দেখছি।’

মুআ/এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!