চট্টগ্রামে আসার আগে ঢাকা-সিলেট মিলে ছয় ম্যাচে মাত্র দুই জয়। পয়েন্ট টেবিল সমৃদ্ধ করার লক্ষ্যে বিপিএলের চট্টগ্রাম পর্ব খেলতে এসেছিল দুর্বার রাজশাহী। কিন্তু চট্টগ্রাম আসার পর রাজশাহী দল তখন সংবাদের শিরোনামে, মূল বিষয় পারিশ্রমিক বিতর্ক। রাজশাহীর খেলোয়াড়েরা কোন টাকা না পাওয়ার অভিযোগ এনে বর্জন করেন দলের অনুশীলন। এমনকি হুমকি দিয়ে রাখে ম্যাচও বর্জনের। তবে, সে অনিশ্চয়তা দূর হয়েছে কাল রাতে টিম হোটেলে ক্রিকেটারদের পাওনা মেটানো শুরুর পর। কিছু বকেয়া মেটানো হয়েছে আজও।
জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আজ সেটারই প্রতিফলন দেখা গেল কি না, কে জানে! ব্যাটে–বলে দারুণ পারফরম্যান্স দেখিয়ে আবারও জয়ের ধারায় ফিরেছে দুর্বার রাজশাহী।
শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) দিনের প্রথম ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিং নেয় রাজশাহী। ১৪ বলে ১৯ রান করে ফেরেন ওপেনার মোহাম্মদ হারিস। আরেক ওপেনার জিশান আলম করেন ১৮ বলে ২০ রান।
তিনে নেমে অধিনায়ক এনামুল হক বিজয় খেলেন ২২ বলে ৩২ রানের ইনিংস। ২৭ বলে রাজশাহীর ইনিংসের সর্বোচ্চ ৪১ রান করেন বার্ল।
গতিশীল ইনিংস গিয়ে বেশিদূর এগোতে পারেননি ইয়াসির আলী। ‘ঘরের মাঠে’ ১০ বলে ১৯ রান করে সাজঘরে ফেরত যান ডানহাতি ব্যাটার।
১৫ বলে ১৪ রানে অপরাজিত থাকেন আকবর আলী। তার সঙ্গে ৬ বলে ১২ রানে উইকেটে থাকেন মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী।
সিলেটের হয়ে ৩ উইকেট শিকার করেন রুয়েল মিয়া।
১৮৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করে লড়াইটাও করতে পারেনি সিলেট। আরও একবার ব্যাটিং ব্যর্থতায় ডুবেছে তারা। ১৭.৩ ওভারে ১১৯ রানে অলআউট হয় আরিফুল হকের দল।
বরাবরের মতো দুই ওপেনারের ব্যর্থতার পর মিডল অর্ডারে লড়েছেন জাকির হাসান, জর্জ মুনসে আর এরপর জাকের আলী। জাকির ২৮ বলে ৪ বাউন্ডারি আর ২ ছক্কায় ৩৯ আর মুনসে ২২ বলে করেন ২০। শেষদিকে জাকের আলী ২০ বলে ৩ ছক্কায় খেলেন ৩১ রানের ইনিংসে পরাজয়ের ব্যবধানই যা একটু কমিয়েছেন।
সানজামুল ইসলাম ২৫ রানে নেন ৩টি উইকেট। দুটি করে উইকেট তাসকিন আহমেদ, মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী আর আফতাব আলমের।
সাত ম্যাচে তৃতীয় জয়ে পয়েন্ট তালিকার চার নম্বরে উঠে এসেছে রাজশাহী। সমান ম্যাচে পাঁচ নম্বর হারে সিলেট নেমে গেছে ছয়ে।