পারকি সৈকতে বিষাক্ত ‘ভদকা’য় দুই যুবকের মৃত্যু, অসুস্থ আরও তিন

চট্টগ্রামের আনোয়ারা পারকি সৈকতে মদ খেয়ে মৃত্যু হল দুই যুবকের। এ ঘটনায় অসুস্থ হয়েছে আরও তিন যুবক। মদে বিষক্রিয়ার কারণে এই ঘটেছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।

স্থানীয় সূত্রগুলো জানায়, ২৪ ডিসেম্বর বিকেলে পাঁচ বন্ধু মিলে পারকির সৈকতের মদ ব্যবসায়ী নাছিম ও তার ভাইয়ের দোকান থেকে কৌতূহলের বশে মদ কিনতে যান। তারা বিদেশি মদ চাইলে মদবিক্রেতা নাছিম একটি খোলা বোতল এনে দেন। খোলা বোতলে যুবকদের সন্দেহ হলে নাছিম জানান, ‘ওটা ভদকা। একজনকে একটু দিয়েছি, তাই খোলা।’ এরপর পাঁচ যুবক মিলে দুই পেগ করে মদ পান করেন।

ওই মদ খাওয়ার পরপরই তারা অসুস্থতা বোধ করতে থাকেন। সবার বুক জ্বালাপোড়া করতে শুরু করে। এর একপর্যায়ে দ্রুত তারা নিজ নিজ বাড়ি চলে যান। পরে রাতে একইসঙ্গে পাঁচ যুবকই অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদের নিয়ে যাওয়া হয় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে অবস্থার গুরুতর অবনতি ঘটার একপর্যায়ে বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) চিকিৎসাধীন অবস্থায় লিটন মিয়া (২২) নামে এক যুবক মারা যান। তিনি ভোলার বোরহানউদ্দীন থানার বোরহানগঞ্জের নুর উদ্দীনের ছেলে, তবে থাকতেন কর্ণফুলী থানার খোয়াজনগরে।

পরদিন বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) একইভাবে মৃত্যু ঘটে জসীম উদ্দীন (২৬) নামের আরেক যুবকের। তিনি কর্ণফুলী উপজেলার বড়উঠান ইউনিয়নের মো. ইব্রাহীমের ছেলে। নিহত এই দুই যুবকের ময়নাতদন্ত চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সম্পন্ন হয়েছে। অতিরিক্ত মদপান, নাকি ভেজাল মদে মৃত্যু— ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে আসলে এ ব্যাপারে জানা যাবে বলে আশা করছে পুলিশ।

মদপানের ঘটনায় এখনও চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরও তিন যুবক। এরা হলেন কর্ণফুলী চরলক্ষ্যা ৬নং ওয়ার্ডের আবদুল গফুরের ছেলে শরীফ নিশু (২৩), মো. সেলিমের ছেলে মোজাম্মেল হক ইউরো (২১) ও নুর উদ্দীনের ছেলে ইয়ার মোহাম্মদ মধু (২২)।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!