বিদ্যুতের প্রিপেইড মিটারে বিনামূল্যের ব্যাটারি লাগানোর নামে অবৈধ বাণিজ্য নিয়ে চট্টগ্রাম প্রতিদিনে প্রতিবেদন প্রকাশের পর অনেক পাঠকই ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। চট্টগ্রাম প্রতিদিনের অনলাইন সংস্করণের মন্তব্যের ঘর ছাড়াও অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজে অনেকে বর্ণনা করেছেন নিজেদের বিব্রতকর অভিজ্ঞতা।
শুক্রবার (১৪ জানুয়ারি) ‘চট্টগ্রামে প্রিপেইড মিটারে বিনামূল্যের ব্যাটারি লাগানোর বাণিজ্যে ২০ কোটি টাকার ধান্ধা’ শিরোনামে প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয় চট্টগ্রাম প্রতিদিনের ডিজিটাল সংস্করণে।
এই প্রতিবেদন প্রকাশের পর পাঠকরা গত কয়েক দিনে মতামত ও সংবাদের প্রতিক্রিয়ায় বিভিন্ন ধরনের মন্তব্য করেছেন। সেখান থেকে বাছাই করা কিছু মন্তব্য প্রকাশিত হলো এখানে—
চট্টগ্রাম প্রতিদিনের অনলাইন সংস্করণের মন্তব্যের ঘরে মো. সুমন নামের একজন লিখেছেন, ‘আমিও ভুক্তভোগী। ৫টি মিটারের জন্য প্রায় ৩০০০ টাকা ঘুষ দিতে হয়েছে শুধুমাত্র ব্যাটারি বদলাতেই। এরপর হুট করেই লক হয়ে যাওয়া সমস্যার জন্য আরো ১ হাজার দিতে হয়েছে। এই দায় কার?’
উৎপল দে চৌধুরী নামের এক পাঠক লিখেছেন, ‘আমার বাসায় পোস্টপেইড মিটার। লাইনম্যান এসে বলে গেছে প্রি পেইড মিটার লাগাতে হবে। আর প্রতি মিটার ১২০০ টাকা করে কিনে নিতে হবে আর লাগানোর খরচ দিতে হবে। হাটহাজারী পিডিবির অধীনে আমার বাসা।’
চট্টগ্রাম প্রতিদিনের অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজে জাওয়াদ আফনান নামের একজন লিখেছেন, ‘আহা এই ব্যাটারি নিয়ে ভুক্তভোগী হতে হতে দৌড়াদৌড়ি করতে করতে জীবন শেষ। একদিন এক ব্যাটারি শেষ হয়ে মিটার বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর অফিসে গিয়ে কমপ্লেইন দিয়ে আসলাম। সারাদিন পর রাতে সে ব্যাটারি নিয়ে আসলো সে চায় ৫০০ টাকা। আমি দিলাম ২০০ টাকা। তার সাথে তর্কের কারনে সে পচা ব্যাটারি দেওয়াতে সেই ব্যাটারি গেল মাত্র ১ সপ্তাহ। এরপর আবার ১ রাত আর ১ দিনের ভোগান্তি। আবার অফিসে গিয়ে কমপ্লেইন। আবারো সেই ৫০০ টাকার কাহিনী। জনগণ হিসাবে আর কতোটা ভুক্তভোগী হওয়া বাকি আছে জানাবেন।’
মোহাম্মদ সোহেল লিখেছেন, ‘যার কাছ থেকে যেরকম পারছে, সেরকম নিচ্ছে ১০০০, ৮০০, ৬০০। একেকজন থেকে একেক রকম। এক নম্বর চাঁদাবাজ এরা।’
মোহাম্মদ তৌহিদ লিখেছেন, ‘চট্টগ্রামের প্রত্যেকটি বিদ্যুৎ বিভাগের এই অবস্থা। যেমন চট্টগ্রামের সৈয়দ শাহ রোড বিদ্যুৎ বিভাগ। টাকা ছাড়া কেউ আসতেই চায় না। তাদেরকে চা-নাস্তা বাবদ টাকা না দিলে তারা আসি আসি বলে কয়েকদিন পার করে দেয়।’
মামুন ইবনে হারুন লিখেছেন, ‘বিকাল ৪টার পর ব্যাটারি লাগাতে হলে ৭০০ থেকে ১০০০ টাকা লাগে। না দিলে বলে পরদিন অফিস টাইম পর্যন্ত অন্ধকারে বসে থাকেন। অফিস টাইম না হলে এরা কাজই করে না।’
অন্বেষা পিউ বড়ুয়া লিখেছেন, ‘কোথায় ব্যাটারি বিনামূল্যে? আমরা তো ১৮০০ টাকা দিয়ে ব্যাটারি চেঞ্জ করেছি।’
শফিকুর রহমান একজন লিখেছেন, ‘দালালরা একটা ব্যাটারি ১০০০-১৫০০ টাকা পর্যন্ত নিচ্ছে।’
সিপি