পাকিস্তান সফরে যাওয়ার পর থেকে জয়ের দেখা পায়নি বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। টি-টোয়েন্টি সিরিজে পাকিস্তানের কাছে হোয়াইটওয়াশ লজ্জা পাওয়ার পর প্রথম ওয়ানডেতেও হেরে যায় গত কিছুদিন ধরে দুর্দান্ত ক্রিকেট খেলা বাংলাদেশ নারী দল। শেষমেশ সোমবার দুই ম্যাচ ওডিআই সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে স্বাগতিক পাকিস্তানকে এক উইকেটে হারিয়ে সিরিজে সমতায় ফিরে শেষ করে বাংলার বাঘিনীরা।
শ্বাসরুদ্ধকর এক লড়াই, কোনোমতেই আন্দাজ করা যাচ্ছিল না কোন দল জিতবে। অবশেষে শেষ হাসিটা হাসলো বাংলাদেশ। নারী ক্রিকেট দল পেলো পাকিস্তানের মাটিতে বহুল আকাঙ্খিত এক জয়।
লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে উত্তেজনাকর এক ম্যাচে স্বাগতিক পাকিস্তানকে শেষ ওভারে এসে হারিয়েছে বাংলাদেশ। ১ উইকেট আর ১ বল হাতে রেখে পাওয়া জয়ে দুই ম্যাচের সিরিজে ১-১ সমতায় শেষ করেছে মেয়েরা।
টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং বেছে নিয়েছিল পাকিস্তান। বাংলাদেশের মেয়েদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ৪৮.৪ ওভারে ২১০ রানেই আটকে যায় স্বাগতিকদের ইনিংস। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৩ রান করে ওপেনার নাহিদা খান। আলিয়া রিয়াজ ৩৬ আর অধিনায়ক বিসমাহ মারুফ করেন ৩৪ রান।
বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল ছিলেন অধিনায়ক রুমানা আহমেদ। ৩৫ রান খরচায় ৩টি উইকেট নেন তিনি। সালমা খাতুন ২টি আর পান্না ঘোষ নেন ১ উইকেট।
লক্ষ্য ২১১ রানের। ২৯ রানের মধ্যে ২ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। তবে ওপেনার মুরশিদা খাতুন (৪৪) আর চার নাম্বারে নামা ফারজানা হকের (৬৭) দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে দারুণভাবে লড়াইয়ে ফেরে সফরকারিরা।
মুরশিদা খাতুন ফেরার পর ফারজানা হককে সঙ্গ দেন রুমানা খাতুন। তিনি ৩১ রান করে আউট হলে সঙ্গী হন সানজিদা ইসলাম (২০)। তবে ১৮৭ রানের মাথায় ফারজানাকে তুলে নেয়ার পরই টাইগ্রেসদের চাপে ফেলে দেয় পাকিস্তান।
এরপর ১৭ রানের মধ্যে আরও ৫টি উইকেট হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ। ২০৫ রানের মাথায় যখন নবম ব্যাটসম্যান হিসেবে সাজঘরে ফেরেন পান্না ঘোষ, পরাজয়ের শঙ্কা তখন ঘিরে ধরেছে সফরকারিদের।
৯ বলে তখনও ৬ রান দরকার বাংলাদেশের, হাতে উইকেট মাত্র ১টি। নাহিদা আখতার আর জাহানারা আলম সেই শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা থেকে বাঁচিয়েছেন দলকে। জাহানারা ৭ আর নাহিদা ৪ রানে অপরাজিত থেকে বিজয়ীর বেশেই মাঠ ছেড়েছেন।