পাকিস্তানকে হেসেখেলে লজ্জায় ডুবালো ওয়েস্ট ইন্ডিজ

১৩.৪ ওভারেই উইন্ডিজের জয়

কোন সুযোগ থাকলে আইসিসির কাছে টিকিটের টাকা ফেরত চাইতো ট্রেন্টব্রিজে পাকিস্তান-ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচে উপস্থিত দর্শকরা। ১০০ ওভারের ম্যাচ দেখতে টিকিট কেটে স্টেডিয়ামে গিয়ে ৩৫.২ ওভার ম্যাচ কেন দেখবে! অবশ্য আইসিসিও পাল্টা যুক্তি দেখাতে পারে দর্শকদের স্টেডিয়ামে লাঞ্চ নিয়ে ঝক্কিঝামেলা পোহাতে হয়নি বলে। বিশ্বকাপের প্রথম দুই আসরের চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ লাঞ্চের আগেই লজ্জাজনক হার উপহার দেয় ৯২ এর চ্যাম্পিয়ন পাকিস্তানকে।

একপেশে ম্যাচে সহজ জয় দিয়ে আসর শুরু করেছে দুইবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন উইন্ডিজ। আসরের দ্বিতীয় ম্যাচে প্রতিপক্ষ পাকিস্তানকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে তারা।
পাকিস্তানকে হেসেখেলে লজ্জায় ডুবালো ওয়েস্ট ইন্ডিজ 1
নটিংহামের ট্রেন্ট ব্রিজে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ২১.৪ ওভার ব্যাট করে মাত্র ১০৫ রানে গুটিয়ে যায় পাকিস্তান। দলের পক্ষে ২২ রান করে করেন ফখর জামান ও বাবর আজম। এছাড়া ওয়াহাব রিয়াজ ১৮ ও মোহাম্মদ হাফিজ ১৬ রান করেন।

ক্যারিবীয়দের পক্ষে এদিন বল হাতে দুর্দান্ত ছিলেন পেসাররা। তাদের নিয়ন্ত্রিত ও ধারালো বোলিংয়েই পাকিস্তান পড়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে। ওশানে থমাস একাই শিকার করেন ৪টি উইকেট। এছাড়া অধিনায়ক জেসন হোল্ডার ৩টি, আন্দ্রে রাসেল ২টি ও শেল্ডন কটরেল ১টি উইকেট শিকার করেন।

সংক্ষিপ্ত স্কোর
টস: উইন্ডিজ
পাকিস্তান ১০৫ (২১.৪ ওভার)
ফখর ২২, বাবর ২২, ওয়াহাব ১৮, হাফিজ ১৬
থমাস ২৭/৪, হোল্ডার ৪২/২, রাসেল ৪/২
উইন্ডিজ ১০৮/৩ (১৩.৪ ওভার)
গেইল ৫০, পুরান ৩৪*, হোপ ১১
আমির ২৬/৩
ফল: উইন্ডিজ ৭ উইকেটে জয়ী।

জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ক্রিস গেইলের ব্যাটে দারুণ শুরু পায় উইন্ডিজ। যদিও আরেক ওপেনার শাই হোপের বিলাসী শট মোহাম্মদ হাফিজের তালুতে জায়গা করে নিলে দলটির প্রথম উইকেটের পতন ঘটে। এর মাধ্যমে নিজের প্রথম বিশ্বকাপ উইকেটের দেখা পান পাকিস্তানের আলোচিত তারকা পেসার মোহাম্মদ আমির।

এরপর শূন্য রানে ডোয়াইন ব্রাভোকেও আউট করেন আমির। তবে একপ্রান্ত আগলে রেখে মারকুটে ব্যাটিং চালিয়ে যান গেইল। এবি ডি ভিলিয়ার্সকে পেছনে ফেলে এককভাবে বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি ছক্কা হাঁকানোর রেকর্ড গড়ার পর পূর্ণ করেন অর্ধ-শতক।

ক্যারিয়ারের ৫২তম অর্ধ-শতক হাঁকানোর পর গেইলও পরিণত হন আমিরের শিকারে। ৬টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে ৩৪ বলে ৫০ রান করে গেইল ফেরেন সাজঘরে। তবে নিকোলাস পুরানের ঝড়ো ব্যাটিং ও শেষদিকে শিমরন হেটমেয়ারের যোগ্য সমর্থন দলকে এনে দেয় ৭ উইকেটের জয়, ২১৮ বল হাতে রেখেই। পুরান ৪টি চার ও ২টি ছক্কায় ১৯ বলে ৩৪ রান করে অপরাজিত থাকেন, হেটমেয়ার ৭ রানে।

পাকিস্তানের বাজে ফিল্ডিংয়ের দিনে তিনটি উইকেটই শিকার করেছেন আমির।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

ksrm