পর্যটন ব্যবসার আড়ালে দেহ ব্যবসা, নারীসহ ৫২ জন ধরা

পর্যটন নগরী কক্সবাজার হোটেল মোটেল জোনে পর্যটন ব্যবসার আড়ালে সক্রিয় রয়েছে অপরাধী চক্র। তারকা মানের কতিপয় হোটেল, এ্যাপার্টম্যান্ট ও কলাতলী সাংস্কৃতির কেন্দ্রের সামনে অবস্থিত কটেজে প্রকাশ্যে পতিতা ব্যবসা চলছে। এসব কটেজ—রিসোর্টের কর্মরত ম্যানেজার ও হোটেল বয় স্থানীয়সহ ঢাকার বিভিন্ন গ্রামাঞ্চল থেকে মহিলা ও উঠতি বয়সের তরুণী সংগ্রহ করে প্রতিদিন তাদের দিয়ে ঘণ্টা ও নাইট হিসেবে এসব রিসোর্টে দেহ ব্যবসা করে টাকার পাহাড় করেছে তারা। ফলে নষ্ট পথে হাঁটছে তরুণ ও যুব সমাজ। তাই হোটেল মোটেল জোনে মাদক, জুয়া, পতিতা, ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধ নিয়ন্ত্রণে এবার হার্ডলাইনে অবস্থান নিয়েছে জেলা পুলিশ। যার অংশ হিসেবে সাঁড়াশি অভিযানে নেমেছে সদর মডেল থানা পুলিশ।

শুক্রবার (৮ জানুয়ারি) বিকাল থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত অসামাজিক কার্যকলাপ বন্ধে কটেজ জোনে সদর মডেল থানার অফিসার ইনর্চাজ শেখ মুনীর উল গিয়াস ও ওসি (তদন্ত) বিপুল চন্দ্র দের নেতৃত্বে ৪টি কটেজে অভিযান চালানো হয়েছে। অভিযানে কটেজের ম্যানেজার, কর্মচারি, পতিতা ও খদ্দেরসহ ৫২ জনকে আটক করা হয়েছে।

আটক ৫২ জনের মধ্যে ৩১ জন পুরুষ ও ২১ জন নারী। এ সময় উদ্ধার করা হয়েছে ৩৬০ পিস ইয়াবা।

অভিযান সুত্রে জানা যায়, গত ৬মাস ধরে হোটেল মোটেল জোনে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। নজরদারিতে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য—উপাত্ত পাওয়া যায়। যার ভিত্তিতে শুক্রবার বিকাল থেকে ৪টি কটেজে অসামাজিক কার্যকলাপ চালানোর অভিযোগে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে লাইট হাউজ স্বরণ এলাকার আমির ড্রিম প্যালেজ থেকে ১ জন কর্মচারি, ৭ জন খদ্দের ও ২ জন যৌনকর্মী আটক করা হয়। মিম রিসোর্ট থেকে ১ জন কর্মচারি, ১২ জন খদ্দের ও ১৭ জন যৌনকর্মীকে আটক করা হয়। এছাড়া আজিজ গেষ্ট ইন থেকে ১০ জন খদ্দের ও ২ যৌনকর্মীকে আটক করা হয়। এখান থেকে ৩৬০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। অভিযানের বিষয়টি বুঝতে পেরে একটি কটেজ থেকে গোপন পথ দিয়ে সবাই পালিয়ে যায়।

কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি (তদন্ত) বিপুল চন্দ্র দে বলেন, হোটেল মোটেল জোনে অপরাধ নিয়ন্ত্রণে সাঁড়াশি অভিযান শুরু হয়েছে। প্রতিদিন এভাবে ঝটিকা অভিযান চলবে। অভিযানে আটক সকলের বিরুদ্ধে মাদক পাচার আইনের মামলা দায়ের করা হবে। মামলায় কটেজ মালিকদেরও অন্তর্ভুক্ত করা হবে। পর্যটন শহরের মাদক, জুয়া, চুরি, ছিনতাই ও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে পুলিশি অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, অচিরেই পর্যটন শহরকে সব ধরনের অপরাধমুক্ত করা হবে। এছাড়া যানজট পরিস্থিতিও স্বাভাবিক রাখা হবে। এ জন্য কাজ করে যাচ্ছে জেলা পুলিশ। কোন অপরাধীদের ছাড় দেওয়া হবে না।

এসএ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!