পর্যটকশূন্য কক্সবাজার, এক সপ্তাহে ক্ষতি ১৫০ কোটি

২০ হাজার শ্রমিক বেকার হওয়ার আশঙ্কা

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সহিংসতা ও চলমান কারফিউয়ের কারণে পর্যটকশূন্য হয়ে পড়েছে কক্সবাজার। গত এক সপ্তাহে পর্যটক না আসায় ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এতে পর্যটনের সবখাতে প্রায় ১৫০ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে। এর প্রভাবে পর্যটন সংশ্লিষ্ট প্রায় ২০ হাজার শ্রমিক বেকার হওয়ার আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) সাপ্তাহিক ছুটির দিনে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের লাবণী, সুগন্ধা, কলাতলী ও হিমছড়ি পয়েন্ট ঘুরে দেখা গেছে, সমুদ্র সৈকতজুড়ে সুনসান নীরবতা। ব্যস্ততা নেই সৈকতের ফটোগ্রাফার, বিচ বাইক-ওয়াটার বাইক চালক ও ঘোড়াওয়ালাদের। একইসঙ্গে বালিয়াড়িতে খালি পড়ে আছে কিটকটগুলো। প্রায় হোটেল, গেস্ট হাউস, কটেজে ঝুলছে তালা।

কক্সবাজার হোটেল-মোটেল গেস্টহাউস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সেলিম নেওয়াজ বলেন, চলমান কারফিউ ও কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে অস্থিরতার কারণে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে কক্সবাজার পর্যটনশিল্প। কক্সবাজারে সাড়ে ৪০০ হোটেলে ও গেস্ট হাউসে গত ৭ দিনে ১০০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে । পাশাপাশি রেস্তোরাঁসহ অন্যান্যগুলোতে ক্ষতি ৫০ কোটি টাকা। এভাবেই চলতে থাকলে অনেক হোটেল শ্রমিক তাদের চাকরি থেকে ছাঁটাই হতে পারে।

কলাতলী মেরিন ড্রাইভ হোটেল মোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুকিম খান বলেন, প্রতিদিন কোটি টাকা লোকসান হচ্ছে। এই মুহূর্তে কক্সবাজারে পর্যটক নেই। যা ছিল সেনাবাহিনীর পাহারায় ৭১টি বাসে করে ফিরে গেছে। দেশের পরিবেশ স্বাভাবিক না হলে প্রায় সব হোটেল-মোটেল বন্ধ হয়ে যাবে।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আতাউল গনি ওসমানী বলেন, কক্সবাজারে এই মুহূর্তে তেমন পর্যটক নেই । যারা কক্সবাজার ভ্রমণে এসে আটকা পড়েছিল, তাদের কয়েকদিন আগে সেনাবাহিনীর পাহারায় পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।

ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

ksrm