সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে চট্টগ্রামে প্রায় প্রতিদিনই ১১টি ল্যাবে করোনার নমুনার পরীক্ষা করা হয়। কিন্তু গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা হয়েছে মাত্র ৫টি ল্যাবে। তাতে করে স্বভাবতই শনাক্ত কমে এসেছ ৭৪২ জনে। এর মধ্যে নগরে ৬৪৯ এবং উপজেলা পর্যায়ে ৯৩ জন। অথচ, আগেরদিনই চট্টগ্রামে ‘রেকর্ড’ ১৪৬৬ জন করোনা রোগীর খোঁজ মিলে। তবে একই সময়ে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যাও কমে হয়েছে ৪ জনে।
এ নিয়ে চট্টগ্রামে মোট আক্রান্ত বেড়ে ৮১ হাজার ৯৫৯ জন। এর মধ্যে নগরে ৬১ হাজার ৫৫৬ জন এবং উপজেলা পর্যায়ে ২০ হাজার ৪০৩ জন। আক্রান্তদের মধ্যে ইতোমধ্যে ৯৬২ জন মারা গেছেন। এর মধ্যে নগরের ৫৭৭ এবং উপজেলার বাসিন্দা ৩৮৫ জন।
শনিবার (৩১ জুলাই) চট্টগ্রাম জেলার করোনা সম্পর্কিত এ তথ্য নিশ্চিত করেন সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি। তিনি বলেন, এদিন চট্টগ্রামের ৫টি ল্যাবে ২ হাজার ১৩৪ জনের নমুুুুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। পরীক্ষায় করোনা আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে ৭৪২ জনের।
ল্যাবভিত্তিক ফলাফলে জানা যায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ৩২৮ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১৬৪ জনের দেহে করোনার জীবাণু পাওয়া গেছে। ফৌজদারহাটের বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে (বিআইটিআইডি) ৭৩০ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১৬৪ জনের দেহে করোনার উপস্থিতি পাওয়া গেছে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে (চমেক) ৬৩২ জনের নমুনা পরীক্ষায় ২১৫ জনকে করোনার জীবাণু বাহক হিসেবে শনাক্ত করা হয়। এন্টিজেন টেস্টে ১১২ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৪৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
নগরীর বেসরকারি ল্যাবগুলোর মধ্যে শেভরন ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি ২১৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৮৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে এবং চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে ১১৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৬৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ইউনিভার্সিটি (সিভাসু) ল্যাব, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাব, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালের ল্যাব, জেনারেল হাসপাতালের রিজিওনাল টিবি রেফারেল ল্যাবরেটরিতে (আরটিআরএল), মেডিকেল সেন্টার হাসপাতাল এবং ইপিক হেলথ কেয়ার ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা হয়নি।
উপজেলা পর্যায়ে শনাক্তদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রোগীর খোঁজ মিলে ফটিকছড়িতে—২২ জন। এছাড়া আনোয়ারায় ২১ জন, সাতকানিয়া ও সীতাকুণ্ডে ১২ জন করে, রাউজান ৭ জন, সন্দ্বীপে ৬ জন, চন্দনাইশ ৫ জন, হাটহাজারী, পটিয়া ও মিরসরাইয়ে ২ জন করে এবং লোহাগাড়া ও বাঁশখালীতে ১ জন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এদিন বোয়ালখালী ও রাঙ্গুনিয়ায় কোন পজিটিভ রোগী পাওয়া যায়নি।
এমএহক