পরিবেশ ছাড়পত্র ছাড়াই বলিরহাটে ফার্নিচার ব্যবসা

জরিমানা গুণল ১৩ প্রতিষ্ঠান

কারখানার তরল বর্জ্য ফেলে পরিবেশের ক্ষতি সাধন করার দায়ে দুই প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম অঞ্চল। এইসঙ্গে অনুমতি ছাড়া পাহাড় দখল করে সীমানা ও বাড়ি নির্মাণ করার দায়ে দুই ব্যক্তিকে জরিমানাও করা হয়। একইদিন পরিবেশের ছাড়পত্র না নিয়ে চান্দগাঁও বলিরহাটে ফার্নিচার কারখানা স্থাপন করে পরিবেশের ক্ষতি করার দায়ে শুনানি শেষে ১৩ কারখানাকে জরিমানা করা হয়েছে।

সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেলে শুনানিতে এ জরিমানা করা হয়। এসময় প্রতিষ্ঠান, দুই ব্যক্তি ও ১৩ জন ফার্নিচার দোকানদারের বিরুদ্ধে মোট ৪ লাখ ৩৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। শুনানিতে পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মহানগরের পরিচালক মোহাম্মদ নূরুল্লাহ নূরী ছাড়াও সেখানে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

শুনানির পর চট্টগ্রামের সাগরিকা এলাকায় রিভারেইন ফিস অ্যান্ড ফুড প্রসেসিং ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডকে ২৫ হাজার টাকা, এপেক্স ফুড লিমিটেডকে ৪০ হাজার টাকা, চট্টগ্রামের বায়েজিদ বোস্তামী থানার বাংলা বাজার ডেবার পাড় এলাকার বাসিন্দা মৃত ফজর আলীর পুত্র নুরুল জামালকে ২ লাখ টাকা এবং একই থানার লিংক রোড ছিন্নমুল এলাকার বাসিন্দা আব্দুস সালামের পুত্র মো. নাসিরকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

এছাড়া ফার্নিচার দোকানের স্বত্ত্বাধিকারী মৃত আব্দুল মান্নানের পুত্র মো. নয়নকে ৭ হাজার টাকা, মৃত মুন্সি মিয়ার পুত্র মো. সালাউদ্দিনের দুই দোকানকে পৃথকভাবে ২০ হাজার টাকা, মৃত আব্দুল হকের পুত্র মো. আলীকে ৭ হাজার টাকা, ইদ্রিসের পুত্র মো. রুবেলকে ৮ হাজার টাকা, আলম মিয়ার পুত্র মো. ইসমাইলকে ৭ হাজার টাকা, মৃত মো. ইউসুফের পুত্র মো. ইলিয়াছকে ৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

এছাড়া মৃত লোকমান হোসেনের পুত্র আতিকুর রহমানকে ৮ হাজার টাকা, সৈয়দ আহমদের পুত্র সাইফুল ইসলামকে ৮ হাজার টাকা, জাফর আহমদের পুত্র সাইফুল আলমকে ৮ হাজার টাকা, মৃত কবির আহমদের পুত্র মো. ফারুককে ৮ হাজার টাকা, কবির হোসেনের পুত্র মুন্সি মিয়াকে ১০ হাজার টাকা এবং রংধনু ফার্নিচারের মালিক মো. মোস্তাফিজুর রহমানকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

সবগুলো ফার্নিচারের দোকান চান্দগাঁও থানার বলিরহাট সৈয়দ আব্দুল আজিজ শাহ রোডে অবস্থিত।

মুআ/কেএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!