চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় ইটভাটা বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। শুক্রবার (১৮ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় কেওচিয়া ইউনিয়নের তেমুহানী এলাকায় এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
আলী হোসেনের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন মাসুম চৌধুরী, হেলাল চৌধুরী টিপু, কেওচিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রিপন দাশ সুজন, কেওচিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনির আহম্মদ, প্রফেসর এনামুল হক, আহমদ কবির, মো. সেলিম ও ওসমান হোসেন।
এতে বক্তারা বলেন, এভাবে ইটভাটা চলতে থাকলে কেওচিয়া, কালিয়াইশ ও ধর্মপুর এলাকা জনশূন্য হয়ে পড়বে। আরাকান সড়কের পশ্চিম পাশে ৬০টির বেশি ইটভাটা রয়েছে। এসব ইটভাটার কারণে নলুয়া, মরফলা, ঢেমশা, পশ্চিম ঢেমশার মানুষ চরম স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছে।
বক্তাদের অভিযোগ- তেমুহানী এলাকায় (আরাকান সড়কের পূর্ব পাশে) ইটভাটা নির্মাণ করা হলে ধর্মপুর, কেওচিয়া ও কালিয়াইশের কৃষি জমি নষ্ট হয়ে যাবে। পাশাপাশি বেকার হয়ে পড়বে হাজার হাজার কৃষক।
তারা আরও অভিযোগ করেন- কেওচিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যানের আবদুল হকের ছেলে মাঈনুদ্দীন হাসান মনু অনেক সম্পত্তির মালিক। এরপরেও মনু কেন গরীবের জায়গার ওপর জোরপূর্বক ইটভাটা নির্মাণ করতে চাচ্ছেন, এটা আমাদের বোধগম্য নয়। এছাড়া ইটভাটার জন্য কেউ জমি দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা ও প্রকাশ্যে পুড়িয়ে মারা এবং ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেওয়াসহ বিভিন্ন ধরনের হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
মানববন্ধন শেষে জায়গার মালিক কেওচিয়া ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা রামচরণ দাশ কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আমি আমার জমি ফেরত চাই, আমার বড়লোক হওয়ার স্বপ্ন নেই। আমার বাবার নামে এই জায়গার আরএস এবং বিএস আছে। এরপরেও তারা আমার জায়গার উপর জোরপূর্বক ইটভাটা নির্মাণ করছে।
৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা গৌরাঙ্গ দাশের ছেলে দিবাকর দাশ তার প্রতিবেশী রামচরণ দাশ, পরিমল দাশ অভিযোগ করেন- মাঈনুদ্দীন হাসান মনুর দালাল মো. এনাম, ফোরকান, কামাল চৌধুরী এবং মিয়া আমাদেরকে প্রকাশ্যে পুড়িয়ে মারার হুমকি দিচ্ছে। বর্তমানে আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
এলাকাবাসীর অভিযোগ- প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, পরিবেশ অধিদপ্তর, বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, এসিল্যান্ড ও কেওচিয়া ইউনিয়ন পরিষদে ইটভাটার বিষয়ে অভিযোগ দিলেও এখনও সুরাহা হয়নি।
এএইচ