পথ আটকে কাবিননামা চেয়েছিল শফি, এরপরই স্ত্রীকে ধর্ষণ
শনিবার রাত সাড়ে দশটার দিকে ব্যক্তিগত কাজ শেষে বায়েজিদের রৌফাবাদের বাসায় ফিরছিলেন স্বামী-স্ত্রী। চট্টগ্রাম নগরের অক্সিজেন মোড়ে শফি নামের এক ব্যক্তি তাদের পথ আটকে দাবি করেন— তারা দুজন স্বামী-স্ত্রী নয়। এ সময় তাদের কাছে কাবিননামাও দেখতে চান শফি। কাবিননামা দেখাতে না পারার অজুহাতে স্বামীকে হাত-পা বেঁধে গাড়িতে বসিয়ে রেখে স্ত্রীকে পাশের সালমা কলোনিতে নিয়ে ধর্ষণ করেন শফিসহ তার সাঙ্গপাঙ্গরা।
পরে জরুরি সেবা ৯৯৯-এর মাধ্যমে ওই নারী ও তার স্বামীকে উদ্ধারের পাশাপাশি এই ঘটনায় জড়িত ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
চট্টগ্রাম নগরের বায়েজীদ বোস্তামী থানার ব্যস্ততম অক্সিজেন মোড় এলাকায় শনিবার (২৯ আগস্ট) রাত সাড়ে ১০টা থেকে রাত ২টা ৩০ মিনিট সময় ধরে এই ঘটনা ঘটে। এক ফাঁকে সুযোগ পেয়ে ওই নারীর স্বামী ৯৯৯ জরুরি সেবায় কল দিলে তাৎক্ষণিকভাবে অভিযান চালিয়ে বাদশা মিয়া ও রবিন নামে দুজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে বাদশা ও রবিনের দেয়া তথ্যে অভিযান চালিয়ে এই ঘটনায় জড়িত আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তবে এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এই ধর্ষণের ঘটনার নাটের গুরু মো. শফিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
বাদশা মিয়া, মো. রবিন ছাড়া আরও যে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তারা হলেন মো. জাবেদ ও মো. ইব্রাহীম। জানা গেছে, এদের সবাই অক্সিজেন মোড় এলাকায় সিএনজি অটোরিকশাচালক।
বায়েজিদ বোস্তামী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রিটন সরকার চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘এই ঘটনায় পালাতক শফিকে প্রধান আসামি করে গ্রেপ্তার হওয়া ৪ জন সহ মোট ৫ জনকে আসামি করে ভিকটিম ওই নারী একটি মামলা দায়ের করেছেন। ভুক্তভোগী ওই নারীকে শারীরিক পরীক্ষার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পলাতক শফিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’
সিপি