পথেই ধর্ষণ, বাড়ি যেতে পারলো না কিশোরী—ঠাঁই হলো হাসপাতালে

চট্টগ্রাম নগরের একটি বাসায় গৃহকর্মীর কাজ করতেন শিউলী (ছদ্মনাম) নামের এক কিশোরী। গৃহকর্তা তাকে বিদায় করে দিলে বাড়ি পৌঁছে দেয়ার নাম করে পথেই ধর্ষণ করলেন যার হাত ধরে কাজে আসা সেই আবুল বশর ও তার এক সঙ্গী। চট্টগ্রাম থেকে গ্রামের বাড়ি কক্সবাজারের চকরিয়ার পূর্ব বড় ভেওলা যাওয়ার পথে বাঁশখালীর পুঁইছড়িতে গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন এই কিশোরী। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে দুই ধর্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

সোমবার (২৬ অক্টোবর) রাত ১০টায় ধর্ষণের এ ঘটনায় ধর্ষিতার মা বাদি হয়ে বাঁশখালী থানায় মামলা দায়ের করেছেন। এরপর ধর্ষিতাকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।

গ্রেপ্তার দুই ধর্ষক হলেন বাঁশখালীর ছনুয়া ইউনিয়নের খুদুকখালী গ্রামের মৃত নুর আহাম্মদের ছেলে আবুল বশর (৪৫) ও পুঁইছড়ি ইউনিয়নের পূর্ব পুঁইছড়ি গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে মো. জমির (৩৫)।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কক্সবাজারের চকরিয়ার পূর্ব বড় ভেওলার জনৈক দিনমজুরের কিশোররী কন্যা চট্টগ্রাম শহরে এক ব্যক্তির বাসায় গৃহপরিচারিকার কাজ করতেন। গত ১৮ অক্টোবর গৃহপরিচারিকার কাজটি পাইয়ে দেন ধর্ষক বাঁশখালীর ছনুয়া ইউনিয়নের খুদুকখালী গ্রামের মৃত নুর আহাম্মদের ছেলে আবুল বশর (৪৫)। সোমবার (২৬ অক্টোবর) বিকালে বাসার গৃহকর্তা মহিউদ্দিন ওই কিশোরিকে বিদায় করে দিলে আবুল বশর ওই কিশোরিকে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে বাঁশখালী সড়ক হয়ে চকরিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। রাত ৯টার দিকে বাঁশখালীর প্রেমবাজারে গাড়ি থামিয়ে চা-নাস্তা করার কথা বলে গাড়ি থেকে ওই কিশোরীকে নিয়ে নেমে যায় আবুল বশর। পরে পুঁইছড়ির হাব্বান আলী সড়ক ধরে হাঁটা শুরু করে। এসময় মো. জমির নামে আরও একজনকে সঙ্গে নেয় সে। এরপর রাত ১০টার দিকে ফসলি জমিতে নিয়ে গিয়ে দুজনই ওই কিশোরীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ওই সময় ধর্ষিতার আর্তচিৎকারে গ্রামবাসী ধর্ষিতাকে উদ্ধার করলেও ধর্ষকরা পালিয়ে যায়। পরে বাঁশখালী থানার উপপরিদর্শক দীপক সিংহের নেতৃত্বে একদল পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে দুই ধর্ষককে গ্রেপ্তার করে।

বাঁশখালীর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রেজাউল করিম মজুমদার বলেন, পুলিশ দ্রুত অভিযান চালিয়ে দুই ধর্ষককে গ্রেপ্তার করেছে। ধর্ষিতাকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় ধর্ষিতার মা বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেছে। জড়িতদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এসএ/এমএহক

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!