পতেঙ্গা সৈকতে যেতে সিএমপির মানা

পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে সর্বসাধারণের যাতায়াত নিষিদ্ধ করেছে সিএমপি। করোনাভাইরাসের ঝুঁকি এড়াতেই সচেতনমূলক প্রচার প্রচারণায় মানুষ তেমন আমলে না নেওয়ায় এবার এগিয়ে এলো চট্টগ্রাম নগর পুলিশ। পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতসহ যেসব স্থানে জনসমাগম হয় সেদিকেও নজর দিচ্ছে সিএমপি।

সিএমপি কমিশনার মাহবুবর রহমান বুধবার (১৮ মার্চ) বিকেল ৩টা ৪ মিনিটে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তাঁর ব্যক্তিগত ওয়ালে পতেঙ্গায় জনসমাগমের ছবি আপলোড দিয়ে লিখেন-‘এই হলো পতেঙ্গা সৈকতের গতকাল বিকেলের দৃশ্য, করোনাভাইরাস থেকে নগরবাসীকে বাঁচাতে আমরাই দায়িত্ব নিলাম। খালি থাকবে সৈকত দয়া করে কেউ যাবেন না।’

পরে সিএমপির ফেসবুক পেইজে বলা হয়—সারাবিশ্বে করোনাভাইরাসের ব্যাপক প্রাদুর্ভাবের কারণে জনসমাবেশসহ বিভিন্ন জনবহুল এলাকায় করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা রয়েছে। তাই করোনা সংক্রমণ রোধে বাংলাদেশ সরকারের সর্বোচ্চ মহল থেকে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা ও জনসচেতনতামূলক প্রচারণা চলমান রয়েছে।

গণজমায়েত সহ অযাচিত ঘোরাফেরা সংক্রান্তে নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও চট্টগ্রামের পতেঙ্গা সী-বিচ এলাকায় জনসাধারণের অহেতুক উপস্থিতি পরিলক্ষিত হচ্ছে। এতে করোনাভাইরাস খুব সহজেই এবং দ্রুত বিস্তার লাভ করতে পারে। বিষয়টির গুরুত্ব বিবেচনা করে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত জনস্বার্থে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা সী-বিচ এলাকায় জনসাধারণকে অহেতুক জমায়েত হওয়া সংক্রান্তে পুলিশ কমিশনার, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হল।

সিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানান, শুধু পতেঙ্গা নয় করোনাভাইরাসের সংক্রামণ রোধে নগরীর সিআরবি, নেভালসহ বিভিন্ন জায়গায় নজর দেওয়া হবে। করোনাভাইরাস যাতে না ছড়ায় তার জন্য সরকার যে সকল পদক্ষেপ নিবে সিএমপি তা বাস্তবায়নে সক্রিয় থাকবে।

প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাস ছড়িয় পড়ার শঙ্কায় সরকার ১৬ দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে। ১৭ মার্চ সাধারণ ছুটি পেয়ে বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে হুমড়ি খেয়ে পড়ে জনসাধারণ । এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা সমালোচনা শুরু হয়। সিএমপির এই সিদ্ধান্তে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন সচেতন মহল।

এফএম/এসএইচ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!