বঙ্গোপসাগরের পতেঙ্গা উপকূলে দুর্ঘটনা কবলিত হয়ে আটকে যায় ‘এমভি নিউ গোলাম রহমান’ নামে একটি লাইটার জাহাজ। এ জাহাজ থেকে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের পাওনা আছে এক লক্ষ টাকা। এরই মধ্যে জাহাজটি কেটে নিয়ে যাওয়া শুরু করেছে মালিকপক্ষ। বন্দরের পাওনা না মিটিয়ে এবং অনুমতি ছাড়া জাহাজটি কাটতে শুরু করায় বন্দরের আইন লঙ্ঘন করেছে জাহাজটির মালিক। এ আইন লঙ্ঘন করায় জাহাজ মালিককে এক লাখ টাকা জরিমানা করেছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) তথ্যেরভিত্তিতে চট্টগ্রাম বন্দরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গৌতম বারৈ এই অভিযান পরিচালনা করেন।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের নির্বাহী ম্যাজিস্টেট গৌতম বারৈ চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘মালিকপক্ষ অবৈধ ভাবে গোপনে কেটে নিয়ে যাচ্ছিল লাইটার জাহাজটি। আমরা জানতে পেরে অভিযান পরিচালনা করি। এই জাহাজ কতৃপক্ষের কাছে বন্দরের এক লাখ টাকা পাওনা রয়েছে। সেগুলোও পরিশোধ করেননি জাহাজের মালিক। এছাড়া অবৈধ জাহাজ কাটার দায়ে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।’
জানা গেছে, পরিবেশের ক্ষতি করে জাহাজ কাটা শুরু করায় পরিবেশ অধিদপ্তরও উক্ত জাহাজের মালিককে জরিমানা করতে পারবে। তাই বিষয়টি চট্টগ্রামের পরিবেশ অধিদপ্তরকে অবগত করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন নির্বাহী ম্যাজিস্টেট।
জানা যায়, গত ২১ জুন সাগরে প্রচণ্ড ঢেউয়ের মধ্যে আকস্মিকভাবে ‘এমভি নিউ গোলাম রহমান’ নামের জাহাজটির একপাশে তলা ফেটে যায় । এরপর দ্রুত জাহাজটিকে পতেঙ্গা সীবিচ এলাকার দিকে দিকে চরে উঠিয়ে দেওয়া হয়।
তবে দুর্ঘটনাকবলিত জাহাজটির নাবিকরা কেউই হতাহত হননি। উক্ত জাহাজে ৯০০ টন ডাল ছিল।
যোগাযোগ করা হলে উক্ত জাহাজের মালিকপক্ষের প্রতিনিধি রাজু ধর চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘এমভি নিউ গোলাম রহমান এর মালিক বরিশালের মোহাম্মদ ইউনুছ কমিশনার। জাহাজটি কাটা হচ্ছে সেটি আমি জানতাম না। সকালে বন্দর কতৃপক্ষ থেকে ফোন করার পর আমি জানতে পারি বিষয়টি।’
এএস/এমএফও