পতেঙ্গায় ছেলেকে গরম খুন্তির ছ্যাঁকা দেন মা ও সৎ বাবা মিলে, মাদকাসক্ত দুজনেই

মা ও সৎ বাবা মিলে বাসার ভেতরেই নেশা করতেন। এ নিয়ে কোনো কথা বললেই অকথ্য নির্যাতন চলতো সাত বছরের শিশু রাব্বি হোসেন তামিমের ওপর। কখনও তাকে গরম খুন্তির ছ্যাঁকা, আবার কখনও ঘরের খুঁটিতে বেঁধে চালানো হতো চরম মারধর।

পতেঙ্গায় ছেলেকে গরম খুন্তির ছ্যাঁকা দেন মা ও সৎ বাবা মিলে, মাদকাসক্ত দুজনেই 1

সর্বশেষ গত সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাতেও খুন্তি গরম করে তার পিঠ-হাতসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ছ্যাঁকা দেওয়া হচ্ছিল। এমন নারকীয় অত্যাচার সইতে না পেরে চিৎকার করে আর্তনাদ করছিল সাত বছরের শিশুটি। এমন ঘটনায় হতভম্ব প্রতিবেশীরা পুলিশে খবর দেওয়ার পর সৎ বাবাসহ মাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

s alam president – mobile

এমন ঘটনা ঘটেছে চট্টগ্রাম নগরীর পতেঙ্গা থানার ধুমপাড়া এলাকায়।

সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে শিশুটির মা রেহেনা আক্তার ও সৎ বাবা সেলিম উল্লাহকে আটক করে পুলিশ। পরে আদালতে হাজির করলে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। আর শিশুটিকে থানার শিশু সুরক্ষা ইউনিটে রাখা হয়েছে। কোনো আত্মীয়স্বজন না পেলে তাকে সমাজসেবা অধিদপ্তরের শিশু নিবাসে পাঠানো হবে।

অভিযুক্ত রেহেনা ও সেলিমের গ্রামের বাড়ি খুলনার বাগেরহাটে। তবে রেহেনা পতেঙ্গা এলাকায় একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। আর সেলিম কাজ করেন হোটেলে। ভুক্তভোগী শিশু তামিমের প্রথম বাবা তাদের ছেড়ে চলে গেলে চার মাস আগে আবারও বিয়ে করেন রেহেনা।

Yakub Group

পতেঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জায়েদ মো. নাজমুন নূর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ওসি আবু জায়েদ মো. নাজমুন নূর চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘প্রতিবেশীদের অভিযোগের ভিত্তিতে শিশু নির্যাতনকারী মা-বাবাকে আটক করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করা হয়েছে।’

ওসি বলেন, ‘শিশু তামিমকে বাসায় প্রায়ই নির্যাতন করা হতো। সোমবার রাতে খুন্তি গরম করে তার পিঠ, হাতসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ছ্যাঁকা দেওয়া হচ্ছিল। শিশুটি সহ্য করতে না পেরে কান্না করতে থাকে। প্রতিবেশীরা বিষয়টি পুলিশকে জানায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শিশুর মা ও সৎ বাবাকে আটক করে। শিশুটিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। বুধবার আদালতে জবানবন্দির জন্য পাঠানো হবে শিশুটিকে।

ওসি আরও বলেন, ‘শিশু তামিমকে পতেঙ্গা থানার নারী ও শিশু সুরক্ষা ইউনিটে সেবা দেওয়া হচ্ছে। আগামীকালের মধ্যে যদি তার কোনো আত্মীয়ের খবর পাওয়া না যায়, তবে সমাজসেবা অধিদপ্তরের শিশু নিবাসে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।’

বিএস/ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

ksrm