পণ্য রপ্তানি না করেই ৫ কোটি টাকা বৈধ করার চেষ্টা সাগর জুট ডাইভার্সিফাইটের

নারায়ণগঞ্জের সাগর জুট ডাইভার্সিফাইট লিমিটেড আরব আমিরাত থেকে অবৈধ পথে প্রায় ৪ কোটি টাকা দেশে এনে আরও ১ কোটি টাকা সরকারের প্রণোদানা প্রাপ্তির ফন্দি করেছিল। গোপন সংবাদ থাকায় কোম্পানিটির এ অপচেষ্টা রুখে দিয়েছে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস।

ডাইভার্সিফাইট জুট প্রোডাক্ট যেমন জুট ডর মার্ট, জুট টেবিল রানার, ন্যাপকিন অতিরিক্ত ঘোষণা দিয়ে কম পণ্য পাঠানো হচ্ছিল আরব আমিরাতে। বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) সকালে শতভাগ কায়িক পরীক্ষায় চালানটি আটক করে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস।

জানা গেছে, পণ্য চালানটি বেসরকারি কনটেইনার ডিপো সিসিটিসিএল ডিপোতে পণ্য লোড করে জাহাজীকরণের জন্য। রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান নারায়ণগঞ্জের সাগর জুট ডাইভার্সিফাইট লিমিটেডের মনোনিত সিএন্ডএফ এজেন্ট চট্টগ্রামের শেখ মুজিব রোডের আজিজুল হক এন্ড কো প্রাইভেট লিমিটেড।

৩ এপ্রিল মোট ৫টি বিল অব এক্সপোর্টের মাধ্যমে ১২ হাজার ২১৫ কেজি বা ৮২ হাজার পিস পণ্য দেখানো হয়। যেখানে পণ্য পাওয়া যায় মাত্র ১ হাজার কেজি বা ২৯ হাজার পিস।

ঘোষণায় থাকা ৮২ হাজার পিস পণ্যের বিপরীতে মোট ৪ কোটি ৮ লক্ষ টাকা দেশে আনা হয়। যদিও কায়িক পরীক্ষায় পণ্য পাওয়া যায় ২৯ হাজার পিস। যার দাম ২৫ লক্ষ টাকা।

চট্টগ্রাম কাস্টমসের হাউসের হিসাব মতে, প্রায় তিন কোটি ৮১ লক্ষ টাকা অবৈধভাবে সাদা করার চেষ্টা করেছে কোম্পানিটি। শুধু তাই নয়, এ রপ্তানির বিপরীতে আরও ৮০ লক্ষ টাকা সরকারী প্রণোদনা প্রাপ্তির অপচেষ্টা করা হয়েছে। সব মিলে প্রায় ৫ কোটি টাকার মিথ্যা আশ্রয় নিয়েছে নারায়নগঞ্জের সাগর জুট ডাইভার্সিফাইট লিমিটেড।

চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের ডেপুটি কমিশনার মোহাম্মদ আহসান উল্লাহ চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘এ মিথ্যা আশ্রয়ের জন্য আল আরাফা ইসলামি ব্যাংক থেকে এলসি করেন নারায়ণগঞ্জের সাগর জুট ডাইভার্সিফাইট লিমিটেড। হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাচারের চেষ্টা ও কালো টাকা সাদা করার চেষ্টা করেছে তারা। এ কোম্পানির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।’

এএস/এমএফও

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!