পণ্য পরিবহনে জটিলতা, মন্ত্রণালয়ে চট্টগ্রাম চেম্বারের চিঠি

শুধুমাত্র ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ওজন নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা চালুর করার ফলে পণ্য পরিবহনে দীর্ঘদিন যাবৎ চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী ও পরিবহন সেক্টর বৈষম্যের শিকার হচ্ছে। মহাসড়কে পণ্য পরিবহনে সৃষ্ট জটিলতা নিরসনে জরুরি সভা চায় চট্টগ্রাম চেম্বার।

এ ব্যাপারে অনুরোধ জানিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নজরুল ইসলামকে মঙ্গলবার (৭ মে) পত্র দিয়েছেন চট্টগ্রাম চেম্বারের সভাপতি মাহবুবুল আলম।

ওই পত্রে মাহবুবুল আলম বলেন, দেশের স্বার্থে আমরা ওজন নিয়ন্ত্রণের বিরুদ্ধে নই। তবে শুধুমাত্র ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পরিবর্তে দেশের সকল মহাসড়কে একযোগে একই নিয়ম চালুর করার দাবি জানিয়ে আসছি। সাম্প্রতিক সময়ে মহাসড়কে ওজন স্কেল ও হয়রানির প্রতিবাদে কোন সমাধান না আসায় লো-বেড, সেমি লো-বেড, ভারী পণ্য পরিবহন বন্ধ হয়ে যায়। একইসঙ্গে প্রাইম মুভার ট্রেইলার ও ফ্ল্যাটবেড গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম সৃষ্টি হয়েছে।’

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, পবিত্র রমজান মাসে এ জাতীয় সংকট তৈরি হলে সমগ্র দেশে মালামাল পরিবহন চরমভাবে বিঘ্নিত হবে। এতে করে পরিবহনসহ আমদানি-রপ্তানি খাত ও পণ্য বাজারে মূল্য বৃদ্ধির সাথে সাথে চরম অরাজকতা সৃষ্টি হবে। যার ভুক্তভোগী চূড়ান্ত ভোক্তা অর্থাৎ জনগণই হবে।

চিঠিতে সমস্যা দ্রুত সমাধানে সংশ্লিষ্ট সেক্টর ও ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দদের নিয়ে সচিব মো. নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে একটি জরুরি সভা আয়োজনের অনুরোধ জানান মাহবুবুল আলম।

এ বিষয়ে মাহবুবুল আলম চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘ঢাকা-চট্টগ্রাম মহসড়কের বড় দারোগার হাটে এক্সেল লোডে ১৩ টনের উপর পণ্য বোঝাই গাড়ি চলাচলে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। চট্টগ্রাম প্রাইম মুভার ও ফ্লাটবেড ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ তাদের সমস্যা নিয়ে আমার কাছে এসেছিল। তাই সমস্যার সমাধানে একটি জরুরি বৈঠক আয়োজনের জন্য অনুরোধ জানিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নজরুল ইসলামকে চিঠি দিয়েছি।

এমএ/এএইচ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!