চট্টগ্রামের বৃহত্তম পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে পণ্য রয়েছে পর্যাপ্ত। কিন্তু ব্যবসায়ীরা ক্রেতার দেখা পাচ্ছেন না।
চট্টগ্রামে স্বাভাবিক আছে নিত্যপণ্যের বাজার। পণ্যবাহী যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক থাকা এবং পর্যাপ্ত মজুদ থাকায় আগামী ১০ দিনে নিত্যপণ্যের কোনো সংকট হবে না বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তবে এর মধ্যেই খাতুনগঞ্জ থেকে জেলা উপজেলায় পণ্য সরবরাহ ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে। করোনা ভাইরাসে উদ্ভূত পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার আগেই খুচরা ক্রেতাদের বেশিরভাগই অতিরিক্ত নিত্যপণ্যসামগ্রী কিনে ঘরে জমা রেখেছেন। ওই সময় বাজারে চাহিদা বাড়ার সাথে সাথে দামও বেড়ে যায়। কিন্তু চলতি সপ্তাহে নিত্যপণ্যের চাহিদায় খানিকটা ভাটা পড়ে।
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণরোধে বন্ধ রয়েছে গণপরিবহন। তবে নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত রাখা হয়েছে পণ্যবাহী পরিবহন। ব্যবসায়ীরা বলছেন, দেশে উৎপাদিত পেঁয়াজের প্রায় ৬০ শতাংশ বাজারে এসেছে। ভোক্তাদের আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন আড়তদাররা।
চট্টগ্রামের অন্যতম বড় পাইকারী মার্কেট খাতুনগঞ্জের হামিদুল্লা বাজারে গিয়ে দেখা যায়, খালাসের অপেক্ষায় রয়েছে পেঁয়াজ, আদা-রসুন ভর্তি বেশ কয়েকটি পণ্যবাহী ট্রাক। আড়তগুলোতে রয়েছে পর্যাপ্ত মজুদ।
তবে বেচা-বিক্রির তেমন হাঁকডাক নেই। পাইকারিতে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৩৮ টাকা কেজি দরে। আমদানি করা আদা মানভেদে কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ১১৫ টাকা থেকে ১৪৫ টাকায়। চায়না রসুন প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকায়।
আড়তদাররা বলছেন, গেল কয়েকদিনে পেঁয়াজসহ প্রয়োজনীয় নিত্যপণ্য কিনেছেন ভোক্তারা। পণ্য পরিবহন স্বাভাবিক থাকায় ঘাটতি হবে না বলে আশ্বস্ত করেছেন তারা। দীর্ঘ ছুটির সুযোগে অসাধু কোন ব্যবসায়ী যাতে নিত্যপণ্যের দাম বাড়াতে না পারে সেজন্য বাজার মনিটরিং করার পরামর্শ দিয়েছেন আড়তদাররা।
হামিদুল্লাহ বাজারের ব্যবসায়ী ইদ্রিস বলেন, তেল পেঁয়াজ ও মসলার বাজার স্বাভাবিক রয়েছে। যে পরিমাণে স্টক আছে সে পরিমাণে ক্রেতা নেই। সরকারি ছুটি শেষ হলে হয়ত পাইকারি ক্রেতা বাড়তে পারে।
খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ী আশুতোষ মহাজন বলেন, আমদানিকারকদের মোকামগুলো থেকেই বাড়তি দামে ডাল বিক্রি করা হচ্ছে। মূলত দেশে উৎপাদন কম হওয়ার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বেড়ে যাওয়া ও বাড়তি বুকিং দরের যুক্তি দেখিয়ে তারা ডালের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। এ কারণে পাইকারি ও খুচরা বাজারে পণ্যটির দাম বাড়তে শুরু করেছে। মোকামগুলো থেকে সরবরাহ কমে এলে আসন্ন বর্ষা মৌসুমে দেশের বাজারে মুগ, মসুর ও খেসারি ডালের দাম আরও বাড়তে পারে। তবে স্বাভাবিক রয়েছে চালের দামও।
এএস/সিপি