পটিয়ায় মসজিদে স্বাস্থ্যবিধি মানতে অনীহা মুসল্লিদের

মসজিদের বাইরে নেই হাত ধোঁয়ার কোন ব্যবস্থা, ভিতরে ও বাইরে ছিটানো হচ্ছেনা কোন জীবাণুনাশক, নামাজ আদায়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশনা পালনে আগ্রহী নন অনেক মুসল্লি, মসজিদে মাস্ক পরার বাধ্যবাধকতা মানছেন না অনেকে, আবার অনেক মসজিদে মানা হচ্ছে না সামাজিক দূরত্ব রেখে নামাজের কাতার করার নির্দেশনা।

রোববার (১০ মে) ফজর ও দুপুরের নামাজের সময় পটিয়া পৌরসদরের হযরত শাহচান্দ আউলিয়া জামে মসজিদ, পটিয়া বাস স্টেশন জামে মসজিদ, থানা হাট জামে মসজিদ ও আদালত রোড জামে মসজিদ সহ উপজেলার বিভিন্ন মসজিদ ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

জানা যায়- করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে ৩১ দিন বন্ধ রাখার পর (৭ মে) শর্তসাপেক্ষে দেশের সব মসজিদ খুলে দেয়া হয়।

এদিকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার ২য় দিন শুক্রবার (৯ মে) মসজিদে ছিল মুসল্লিদের উপচে পড়া ভিড়। জামাতে একজন থেকে আরেকজন তিনফুট দূরে দাঁড়ানোর নির্দেশনা থাকলেও তা মানা হয়নি মসজিদ গুলোতে।

প্রতি ওয়াক্ত নামাজের পর পুরো মসজিদ জীবাণুনাশক দ্বারা পরিস্কার করা, মসজিদে প্রবেশের পূর্বে স্যানিটাইজার বা হাত ধোয়ার সাবান রাখা, মুসল্লিদের মাস্ক পরে আসা সহ কোন সরকারি নির্দেশনাই মানা হচ্ছেনা উপজেলার প্রায় মসজিদে।

রোববার থানা হাট জামে মসজিদে জোহরের নামাজ পড়তে আসা এক মসুল্লি জানান-মসজিদে কাতারে দাঁড়ানোর সময় অনেকেই সামাজিক দূরত্ব না মেনে দাঁড়িয়ে যাচ্ছেন। এমন হলে তো করোনা ঝুঁকি বাড়বে।

সকালে উপজেলার আরেক মসজিদে গিয়ে দেখা যায়- মসজিদের সামনে হাত ধোয়ার কোন ব্যবস্থা নেই। কোন প্রকার সামাজিক দূরত্ব না মেনে কাতারবন্দী হয়ে সকলে নামাজ আদায় করছে। নামাজ শেষে এ ব্যাপারে মসজিদের ইমাম ও মুয়াজ্জিনদের সাথে কথা বলতে গেলে তারা বিষয়টি এড়িয়ে যান।

এ ব্যাপারে পটিয়া উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইনামুল হাছান চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, আসলে লোকজন যে যার স্থান থেকে যতক্ষণ না পর্যন্ত সচেতন না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত কোন নিয়ম মানা সম্ভব হবে না। তবুও আমরা মসজিদ গুলোতে নিয়মিত তদারকি ও প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি।

এসএইচ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

ksrm