পটিয়ায় গৃহবধূর লাশ উদ্ধার, পালিয়েছে স্বামী ও শশুর শাশুড়ি

পটিয়ায় খায়রুন্নেছা কুসুম নামের এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পটিয়া থানা পুলিশ। নিহত গৃহবধূর গলায় শ্বাসরোধ করার আলামত পাওয়া গেছে। শনিবার (৭ ডিসেম্বর) রাত নয়টার দিকে উপজেলার জিরি ইউনিয়নের দক্ষিণ জিরি গ্রামের আশরাফ আলী মুন্সির বাড়ির একটি ঘর থেকে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

খায়রুন্নেছা কুসুম (২৫) একই এলাকার মো. ইব্রাহিমের স্ত্রী। ইব্রাহিম চট্টগ্রাম নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চাকরি করেন বলে জানা গেছে।

প্রতিবেশীরা জানান, ৫ বছর আগে ইব্রাহিমের সঙ্গে কুসুমের বিয়ে হয়। পরিকল্পিতভাবে স্বামী শশুর-শাশুড়ি মিলে তাকে হত্যা করা হয়েছে। নিহত কুসুমের চার বছর বয়সী এক ছেলে সন্তান রয়েছে। তবে ঘটনার পরপরই নাতিকে নিয়ে দাদা-দাদি ঘর ছেড়ে পালিয়ে যায়। এর আগে স্বামী ইব্রাহিম ও চলে যান। হঠাৎ ইব্রাহিমের মা-বাবাকে একসঙ্গে চলে যেতে দেখে প্রতিবেশী কয়েকজনের মনে সন্দেহ হয়। তারা ওই ঘরে গিয়ে দেখতে পান মেঝেতে পাটির ওপর শায়িত অবস্থায় কুসুমের মরদেহ কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে। সাথে সাথে তারা খবর দেন থানায়।

খবর পেয়ে পটিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চমেক হাসপাতালে পাঠিয়েছে।

কুসুমের গলার দুপাশে দাগ আছে। শ্বাসরোধে তার মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে জানান উপ-পরিদর্শক বোরহান উদ্দিন মজুমদার। পলাতক স্বামী ও শ্বশুর-শ্বাশুড়িকে আটক করতে অভিযান চলছে।

এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!