ইয়াবা নিয়ে লুকোচুরিসহ নানা কর্মকাণ্ডে বিতর্কিত চট্টগ্রামের পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বোরহান উদ্দিনকে বদলি করা হয়েছে। বুধবার (৪ নভেম্বর) পুলিশ সদর দপ্তরের এক আদেশে তাকে বদলি করা হয়।
একইসঙ্গে হাটহাজারী, ফটিকছড়ি ও আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) বদলি করা হয়েছে। বদলি হওয়া তিন থানার ওসিরা হলেন হাটহাজারী মাসুদ আলম, ফটিকছড়ি মো. বাবুল আকতার ও আনোয়ারা দুলাল মাহমুদ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে পুলিশ সুপার এসএম রশিদুল হক বলেন, পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পটিয়া থানার ওসিসহ হাটহাজারী, ফটিকছড়ি ও আনোয়ারা থানার ওসিকে বদলির আদেশ হয়েছে। চারজনকে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটে বদলি করা হয়।
এর আগে গত ১৫ মে পটিয়ার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কক্ষে নির্বাহী কর্মকর্তার উপস্থিতিতে দৈনিক চট্টগ্রাম প্রতিদিনের পটিয়া প্রতিনিধি সাংবাদিক কাউছার আলমকে দুর্ব্যবহার করেন ওসি বোরহান উদ্দিন। দুর্ব্যবহারের কিছুদিন আগেও চট্টগ্রাম প্রতিদিনে ‘পটিয়ায় ১৫ হাজার ইয়াবা নিয়ে পুলিশের লুকোচুরি’ শিরোনামে একটা সংবাদ প্রকাশিত হয়। ওই সংবাদের সূত্র ধরে সাংবাদিক কাউছার আলমের সঙ্গে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করেছিলেন ওসি বোরহান। এমনকি তাকে মারতে তেড়েও আসেন।
এছাড়া ওসি বোরহান পটিয়া থানায় যোগ দেওয়ার পর থেকেই তার বিরুদ্ধে প্রায়ই বিচারপ্রার্থী লোকসহ বিভিন্ন পেশার মানুষের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ উঠছে।
নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, বোরহান উদ্দিন পটিয়া থানায় আসার পর থেকে ইয়াবা বিক্রি বেড়ে যায়। তার বিরুদ্ধে ইয়াবা নিয়ে নয়ছয় করে তৎকালীন পটিয়া থানার সেকেন্ড অফিসার নাদিম মাহমুদকে চক্রান্ত করে অন্য থানায় সরিয়ে দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে।
এএইচ