সদ্য সমাপ্ত উপজেলা নির্বাচনে চট্টগ্রামের পটিয়ার ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।
নির্বাচনী আইন অনুযায়ী জামানত ফেরত পেতে প্রত্যেক প্রার্থীকে মোট প্রদত্ত ভোটের ১৫ শতাংশ ভোট পেতে হয়। সে হিসেবে যদি কেউ এরচেয়ে কম ভোট পান তাহলে নির্বাচনী বিধি অনুযায়ী ওই প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আরিফুল ইসলাম।
পটিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে কাস্টিং হয়েছে ১ লাখ ৭ হাজার ৭৯২ ভোট। এ পদে জামানত রক্ষার জন্য প্রার্থীকে ১৬ হাজার ১৬৯ ভোট পেতে হতো। কিন্তু প্রয়োজনীয় সংখ্যক ভোট না পাওয়ায় ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মোহাম্মদ নাজিম উদ্দীন, আশীষ তালুকদার, সাইফুল হাসান টিটু, মো. মোজাম্মেল হোসেন রাজধন, মোহাম্মদ বেলালের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে কাস্টিং হয়েছে ১ লাখ ৭ হাজার ১৭৪ ভোট। এ পদে জামানত রক্ষার জন্য প্রার্থীকে ১৬ হাজার ৭৬ ভোট পেতে হতো। কিন্তু প্রয়োজনীয় সংখ্যক ভোট না পাওয়ায় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী আফরোজা বেগম জলি, সুমি দে, নুর আয়েশা বেগমের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।
গত ২৯ মে রাতে পটিয়া উপজেলা পরিষদের ১২৮টি কেন্দ্রের মধ্যে ১২৭টি কেন্দ্রের ফল ঘোষণা করা হয়। এতে পটিয়া উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক হারুনুর রশিদ (আনারস) প্রতীকে ৪৬ হাজার ১৪২ ভোট পান। তার প্রতিদ্বন্দ্বী চট্টগ্রাম নগর যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক দিদারুল আলম (দোয়াত-কলম) ৫৬ হাজার ৫৪১ ভোট পেয়ে জয়ী হন।
নির্বাচনি বিধি অনুযায়ী, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদের জন্য একজন প্রার্থীকে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অনুকূলে ১ লাখ টাকা জমা দিতে হয়েছে। আর ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদের জন্য ৭৫ হাজার টাকা জমা দিতে হয়েছে। নির্বাচনে কোনো নির্বাচনী এলাকার প্রদত্ত ভোটের ১৫ শতাংশ ভোট যদি কোনো প্রার্থী না পান, তাহলে তার জামানত বাজেয়াপ্ত হয়। নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া অর্থ খোয়াতে হচ্ছে আট প্রার্থীকে।
পটিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ২ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৮ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
ডিজে