পটিয়ার দুই সাবেক এমপিসহ ২৫০ জনের নামে প্রবাসীর মামলা

এবার চট্টগ্রামের পটিয়ায় এক প্রবাসীর দায়ের করা বিস্ফোরক ও হত্যাচেষ্টা মামলায় আসামি হলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী এবং সাবেক হুইপ সামশুল হক চৌধুরী।

শুক্রবার (১ নভেম্বর) রাতে উপজেলার কচুয়াই ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মো. শাহাজান বাদি হয়ে পটিয়া থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় ১৮০ জনের নাম উল্লেখ করে এজহারভুক্ত আসামি এবং আরও অজ্ঞাত ৬০-৭০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এবারও মামলা থেকে রেহাই পাননি ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বার, পৌর মেয়র, কাউন্সিলর,উপজেলা চেয়ারম্যান, জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, শ্রমিক লীগসহ অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

মামলায় আরও আসামি করা হয়েছে—সাবেক পৌর মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান দিদারুল আলম, সাবেক পৌর মেয়র আইয়ুব বাবুল, হুইপ পুত্র নাজমুল করিম চৌধুরী শারুন, হুইপের ছোট ভাই ফজলুল হক চৌধুরী মহব্বত, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আ ক ম সামশুজ্জামান, লিটন বড়ুয়া, অসিত কুমার বড়ুয়া, আলমগীর আলম, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আইয়ুব আলী, কাজী জিল্লুর রহমান, সাবেক চেয়ারম্যানদের মধ্যে মাহবুবুল হক চৌধুরী, ফৌজুল কবির কুমার জাকারিয়া ডালিম, আমিনুল ইসলাম খান টিপু, মোহাম্মদ হাশেম, শাহাদাত হোসেন সবুজ, শাহিনুল ইসলাম শানু, রণবীর ঘোষ টুটুন, সরোজ কান্তি সেন নান্টু, বদরুউদ্দিন মো. জসিম, মোহাম্মদ সেলিম, মো. বখতিয়ার, ইনজামুল হক জসিম, মোহাম্মদ ছৈয়দ, এহসানুল হক, মাহবুবুর রহমান, আবুল কাশেম, আবদুর রাজ্জাক, যুবলীগ নেতা আবু ছালেহ শাহরিয়ার শাহরু, হাসান উল্লাহ চৌধুরী, ডিএম জমির উদ্দিন, মোজাম্মেল হক লিটন, আমিনুল ইসলাম লিটন, ইয়ার মোহাম্মদ বাবর, নজরুল ইসলাম, শামসেদ হিরু, খোরশেদ আলম মেম্বার, সাইফুল ইসলাম, আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েম, মো. রাসেল, আবু তৌহিদ, দিহান চৌধুরী, মাসুদুল ইসলাম, সাবেক পৌর কাউন্সিলর গোফরান রানা, গিয়াস উদ্দিন আজাদ, সাইফুল ইসলাম, জসিম উদ্দিন, রুপক কুমার সেন, সরওয়ার কামাল রাজিব, ছাত্রলীগ নেতা নাজমুল সাকের সিদ্দিকী, অজয় শীল, গিয়াস উদ্দিন সাব্বির, আবদুল হান্নান, আবু তৈয়ব সোহেল, শেখ সোহেল, আ: লীগ নেতা হোসাইন রানা, কাজী মোরশেদ, মহিলা আ: লীগ নেত্রী সাজেদা বেগম, শ্রমিক লীগ নেতা মোজাম্মেল হক মাজু, টিটু মজুমদার, নেজাম উদ্দিন মেম্বার, আবদুর রাজ্জাক রানা মেম্বারসহ ১৮০ জন এজহারনামীয় আসামি।

মামলার বাদি মো. শাহাজান এজহারে উল্লেখ করেছেন, আমি পেশায় একজন প্রবাসী। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমসহ আমার স্ত্রীর মাধ্যমে জানতে পারি যে, গত ৪ আগস্ট সকাল ১১.২০ মিনিটের দিকে স্বৈরাচারি হাসিনা সরকারের দোসর এবং পটিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের উশৃংখল নেতাকর্মীরা ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করার জন্য বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার উপর অতর্কিত হামলা করে। এসময় বিএনপি জামায়াতের নেতাকর্মীরা উশৃঙ্খল আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বাধা দিতে গেলে ১-১০ নম্বর আসামিদের নির্দেশে ১১-১৮০ নম্বর আসামিরা বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীদের হত্যার উদ্দেশ্যে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র দ্বারা এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। ঘটনাস্থলে উপস্থিত আমার ছেলে ভিকটিম হাফেজ মো. শাহেদের (১৫) মাথায় টুপি দেখে ছাত্রশিবিরের কর্মী মনে করে ১১-১৮০ আসামিরাসহ অজ্ঞাতনামা আসামিদের হাতে থাকা লোহার রড, গাছের বাটাম দিয়ে আঘাত করে। অবৈধ অস্ত্র দ্বারা গুলি ছুড়লে দুটি গুলি গিয়ে আমার ছেলের মাথায় বিদ্ধ হয়।

মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে পটিয়া থানার ওসি আবু জায়েদ মো. নাজমুন নুর বলেন, ১ নভেম্বর রাতে পটিয়া থানায় আরও একটি বিস্ফোরক ও হত্যাচেষ্টা মামলা করা রুজু করেছেন এক প্রবাসী। সেই মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরীকে প্রধান আসামি করে এবং সাবেক হুইপ সামশুল হক চৌধুরীসহ আরো ১৮০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়াও আরো অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে ৬০-৭০ জনকে।

ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

ksrm