চট্টগ্রামের পটিয়ায় দুই ইউপি চেয়ারম্যান জনরোষের মুখে পড়ে কোনোরকম প্রাণে বেঁচে গেছেন।
রোববার (১৮ আগস্ট) উপজেলার কাশিয়াইশ ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাশেম সকালে পরিষদে যাওয়ার পর হাজার হাজার বিক্ষুব্ধ জনতা তাকে অবরুদ্ধ করে রাখেন। এসময় খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর টিম পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ৩ ঘণ্টা পর তাকে উদ্ধার করে পটিয়া থানায় নিয়ে আসে।
এ সময় পরিষদ থেকে সেনাবাহিনীর টিম তাকে উদ্ধার করে আনার সময় ঝাড়ু ও জুতা মিছিল করেন হাজারও বিক্ষুব্ধ জনতা। তারা বিভিন্ন গাড়িতে করে মিছিল সহকারে থানায় এসে জড়ো হন। তাদের সঙ্গে যোগ দেয় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ছাত্র-জনতা।
কাসেম চেয়ারম্যানকে পটিয়া থানা পুলিশ হেফাজতে নেয়। তার বিরুদ্ধে একাধিক লিখিত অভিযোগ জমা হয়েছে থানায়।
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগের পর কাসেম চেয়ারম্যান আত্মগোপনে ছিলেন। রোববার তিনি ইউনিয়ন পরিষদে আসলে জনরোষের মুখে পড়েন।
গত ১৫ বছরে কাসেম চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে হিন্দু সম্প্রদায়ের সম্পত্তি দখল, বাড়িঘর, জমি দখল, এলাকার বিভিন্ন মানুষের বিরুদ্ধে নির্যাতনের নানা অভিযোগ রয়েছে।
অপরদিকে একইভাবে জনরোষের মুখে পড়েন আশিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এমএ হাসেম। রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তিনি পরিষদে প্রবেশ করতে গেলে বিক্ষুব্ধ জনতা তাকে ‘ভুয়া ভুয়া’ ধ্বনিতে মিছিল করে পরিষদে ঢুকতে দেয়নি।
এছাড়া পটিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান দিদারুল আলম রোববার সকালে পরিষদে আসার খবর পেয়ে বিএনপি ও ছাত্র জনতা উপজেলা পরিষদের প্রধান গেটে অবস্থান নেন। এ সময় খবর পেয়ে চেয়ারম্যান দিদারুল আলম পরিষদে যাননি।
একইভাবে বিক্ষুব্ধ জনতা পটিয়া পৌর মেয়র আইয়ুব বাবুলকেও পৌর ভবনে প্রবেশ করতে দেয়নি। এসময় বিক্ষুব্ধ জনতা পৌর ভবনে তালা লাগিয়ে দেন বলে জানিয়েছেন পৌর মেয়র আইয়ুব বাবুল।
পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসীম উদ্দীন বলেন, কাশিয়াইশ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কাশেমকে জনরোষ থেকে উদ্ধার করে সেনাবাহিনী থানায় নিয়ে আসে। এখন পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে ৫টি লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছে স্থানীয় জনতা। সব বিষয় খতিয়ে দেখে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ডিজে