পটিয়ার চাঞ্চল্যকর শিউলি খুনের মামলায় মা-ছেলে গ্রেপ্তার

চট্টগ্রামের পটিয়ার চাঞ্চল্যকর গৃহবধূ শিউলি হত্যা মামলায় সাড়ে পাঁচ মাস পর পলাতক প্রধান আসামি আলভী ও তার মাকে গাজীপুর থেকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-৭।

রোববার (৪ এপ্রিল) রাত ১০টার দিকে র‌্যাব-৭ চট্টগ্রাম এবং র‌্যাব-১ ঢাকা যৌথ আভিযানিক দল গাজীপুরের শ্রীপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামিদের গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। সোমবার র‌্যাব-৭ এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানায়।

গ্রেপ্তার দু’জন হলেন—মো. আলভী (২১) ও তার মা মনোয়ারা বেগম (৩৮)। তারা উপজেলার জঙ্গলখাইন ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সিরাজ গাজী বাড়ির বাসিন্দা। এর আগে এ মামলার আলভীর বাবা মো. মাহমুদুল হক ওরফে মুন্সি মিয়াকে (৫২) গত ২৫ জানুয়ারি চট্টগ্রাম মহানগরীর বাকলিয়া কল্পলোক আবাসিক এলাকা হতে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব।

র‌্যাব জানায়, গোপন সূত্রের ভিত্তিতে চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলার প্রধান পলাতক আসামি মো. আলভী গাজীপুর জেলার শ্রীপুর থানা এলাকায় অবস্থান করছে বলে জানা যায়। এরপর অভিযান চালিয়ে তাকে সেখান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যমতে, অপর একটি আভিযানিক দল ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা থানাধীন আইডিয়াল মোড় এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে মামলার আলভীর মা মনোয়ারা বেগমকে গ্রেপ্তার করে।

জানা গেছে, গত বছরের ১৪ ডিসেম্বর বিকালে নিহত গৃহবধূ শিউলির দুই সন্তান তার বাসার ছাদে খেলাধুলা করছিল। এসময় বসতঘরের নিচ থেকে প্রতিবেশী তাহাসিন তার সন্তানদের কাছে থাকা ব্যাডমিন্টন খেলার ব্যাট নিচে ফেলার জন্য বললে শিউলির সন্তানরা খেলার ব্যাট দিয়ে অপারগতা প্রকাশ করে। তখন প্রতিবেশী তাহাসিন তাদের বাড়ির অন্য একটি বাসার ছাদে উঠে শিউলির সন্তানদের লক্ষ্য করে পাথর নিক্ষেপ করলে তার ছোট ছেলে ছামিম মাথায় গুরতর রক্তাক্ত আঘাতপ্রাপ্ত হয়। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শিউলি এবং প্রতিবেশী মনোয়ারা বেগমের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। পরে শিউলি তার রক্তাক্ত ছেলেকে চিকিৎসার জন্য স্থানীয় আমজুর বাজারে নিয়ে যান এবং চিকিৎসা শেষে বাড়িতে এসে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে বিচারের জন্য মনোয়ারা বেগমের বাড়িতে গেলে আলভী এবং তার অন্যান্য সহযোগীরা পূর্বপরিল্পিতভাবে গৃহবধূ শিউলিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিউলিকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনার পরদিন ১৫ ডিসেম্বর নিহতের স্বামী মোহাম্মদ মুছা বাদি হয়ে পটিয়া থানায় ৭ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

ksrm