চট্টগ্রামের পটিয়ায় ছুরি মেরে ভাতিজা খুনের ঘটনায় চাচা জালাল উদ্দীনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শুক্রবার (২২ নভেম্বর) চট্টগ্রাম মহানগরীর চান্দগাঁও থানাধীন খাজা রোড এলাকা থেকে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) চট্টগ্রাম জেলা ও মেট্রো ইউনিটের যৌথ টিম তাকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার জালাল (৪৫) পটিয়া উপজেলার হাইদগাঁও ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের হাজীপাড়া এলাকার রাজা মিয়ার ছেলে।
জানা গেছে, নিহত ভাতিজা রাশেদের বাবা মারা যাওয়ার পর তার মা অন্যত্র বিয়ে করেন। দাদা-দাদি তাকে লালনপালন করে বড় করেন। চাচা জালাল উদ্দিন চট্টগ্রামে ভাড়া বাসায় থাকেন। গত ১৬ নভেম্বর ঘটনার দিন তিনি গ্রামের বাড়িতে এসে ঘরে ঢুকে দেখতে পান তার একটি কম্বল ভাতিজা রাশেদ ব্যবহার করছেন। যেটি জালাল শহরে নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। বিষয়টি নিয়ে চাচা-ভাতিজার মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়।
একপর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে চাচা জালাল ধারালো ছুরি দিয়ে রাশেদের গলায় আঘাত করেন। এসময় রক্তাক্ত অবস্থায় রাশেদকে উদ্ধার করে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ব্যাপারে সিআইডি চট্টগ্রাম জেলা ও মেট্রো ইউনিটের বিশেষ পুলিশ সুপার (অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) শাহনেওয়াজ খালেদ বলেন, চাচার ছুরিকাঘাতে ভাতিজা নিহতের ঘটনার পর থেকে সিআইডি বিষয়টি নিয়ে ছায়াতদন্ত শুরু করে। একপর্যায়ে জানা গেছে, অভিযুক্ত জালাল চান্দগাঁও থানা এলাকার খাজা রোড এলাকায় একটি হোটেলে কাজ করছিলেন। শুক্রবার রাতে সেখানে অভিযান পরিচালনা করে জালালকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জালাল কম্বল আনাকে কেন্দ্র করে তার ভাতিজাকে হত্যা বিষয়টি স্বীকার করেছে। হত্যা মামলা গ্রেপ্তার দেখিয়ে জালালকে শনিবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে গত ১৭ নভেম্বর রাতে নিহত রাশেদের স্ত্রীর তাসমিন আকতার বাদি হয়ে চাচা জালাল উদ্দীনকে একমাত্র আসামি করে পটিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
ডিজে