পটিয়াতে গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু, পরিবারের দাবি হত্যা

চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার কচুয়াই ইউনিয়ন শেখ মোহাম্মদ পাড়ায় জেরিন আক্তার (২২) নামে এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।

শশুরবাড়ির লোকজন জেরিনের মৃত্যুকে প্রথমে হার্ট অ্যাটাক ও পরে আত্মহত্যা দাবি করলেও তার পরিবারের দাবি, যৌতুকের জন্যই হত্যা করা হয় তাদের মেয়েকে। ঘটনার পর থেকেই পলাতক রয়েছেন স্বামী।

রোববার (৩০ এপ্রিল) বিকাল ৪টার দিকে পটিয়ার কচুয়াই শেখ মোহাম্মদ পাড়ার মো. সালামত আলী খানের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত জেরিন একই উপজেলার ছনহরা ইউনিয়নের মঠপাড়ার আমীর আলমদারের মেয়ে। তার প্রবাসী স্বামীর নাম মো. দিদার আলম (৩৫)। দিদার ঈদের এক সপ্তাহ আগে বিদেশ থেকে দেশে আসেন।

ঘটনার বিষয়ে নিহতের পরিবার জানায়, ২০২০ সালে করোনার সময়ে ছোট পরিসরে দুইপক্ষের সম্মতিতে বিয়ে হয়। কিন্তু করোনার প্রাদুর্ভাব থাকায় সামাজিকভাবে লোকজনদের দাওয়াত খাওয়ানো হয়নি। এ নিয়ে প্রায়ই খোঁটা দিতো জেরিনের শশুরবাড়ির লোকজন।

ঈদের সপ্তাহখানেক আগে নিহতের স্বামী দেশে আসলে পারিবারিক বৈঠকে ১৪ মে সামাজিক দাওয়াত খাওয়ানোর সিদ্বান্ত হয়। কিন্তু সবকিছুর পরও হঠাৎ এমন ঘটনা মানতে পারছেনা নিহতের পরিবারের লোকজন।

এদিকে জেরিনের বাবার বাড়ির লোকজন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসলে দেখতে পান তাদের মেয়ের গলায় রশির দাগ। তখন জেরিনের শ্বাশুরিসহ বাকি শ্বশুরবাড়ির লোকজন জানান, তাদের মেয়ে দড়িতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে। দ্রুত লাশ দাফনের তোড়জোড় করা হয় বলেও অভিযোগ করেন জেরিনের মামা মো. রিদুয়ান।

জেরিনের মামা রিদুয়ান জানান, জেরিনকে যে রুমে ফাঁসিতে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধারের কথা জানিয়েছে সে রুমটির কোনো দরজা নেই এবং সেটি ঘরের সামনের রুম। ঘরভর্তি লোক থাকতে খোলা একটি রুমে কারো পক্ষে আত্মহত্যা সম্ভব না। তিনি দাবি করেন, জেরিনকে হত্যা করা হয়েছে।”

তবে এখনো পর্যন্ত কোন মামলা হয়নি এ ঘটনায়। ময়নাতদন্তের পর ব্যবস্থার কথা জানান পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রিটন সরকার।

ওসি আরও জানান, কচুয়াই গৃহবধুর রহস্যজনক মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে যান। সুরতহাল রিপোর্ট শেষে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য প্রেরণ করে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

বিএস/এমএফও

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

ksrm