কাগজে-কলমে লেখা না থাকলেও, মুখ খুলে কেউ না বললেও আফগানিস্তানের বিপক্ষে আজকের ম্যাচটি আমাদের জন্য অন্য রকম একটি লড়াই, এই লড়াইয়ে হারা যাবে না; এটি মর্যদার লড়াই। এই বিশ্বকাপে পাত্তা না পাওয়া আফগানিস্তান কিন্তু তাদের গত ম্যাচে ভারত বধের কাছাকাছি চলে গিয়েছিল।
আফগানরা রশিদ-মুজিব জুজু নিয়ে রণে নেমেছিল। বিশ্বের বাঘা-বাঘা ব্যাটসম্যানরা পরীক্ষার ‘কমন’ প্রশ্নের মতো তাদেরকে রীতিমতো তুড়ি মেরে উড়ি দিয়েছে। সর্বশেষ ‘মহাভারত’ অধ্যায়ে এসে রসিদ-মুজিব বাংলাদেশের জন্য ‘সিলিবাস’টা একটু কঠিন করে দিয়েছে। বাংলাদেশও আফ্রিকা-উইন্ডিজ জয়ের পর অস্ট্রেলিয়া দখলের দুয়ারে পৌঁছেছিল।
বাংলাদেশ-আফগানের আজকের ম্যাচ ভেন্যু ‘সাউদাম্পটন’ এ এটি এই বিশ্বকাপের পঞ্চম ও শেষ ম্যাচ। আগের চার ম্যাচের একটি পরিত্যক্ত হয়, বাকি তিনটির দুইটিতে ভারত দ. আফ্রিকা ও আফগানিস্তানকে পরাজিত করে অন্য ম্যাচটিতে ইংল্যান্ড উইন্ডিজকে হারায়। সাউদাম্পটনে আগের চার ম্যাচে ২৩০ রানের বেশি উঠেনি। ২০০১ সালে নির্মিত এই মাঠে ২৪৮ রানের ঊর্ধে দলীয় কোন স্কোর নেই।
বোলিং সহায়ক আজকের মাঠে বোলাররাই রাজত্ব কায়েম করতে পারে। এখানে আফগানরা তাদের সর্বশেষ ম্যাচ খেলে হাত পাকিয়ে ‘রেডি’ হয়ে আছে আসরের প্রথম জয়টি তুলে নিতে। ভারত ম্যাচের মতো রশিদ-মুজিব ফোঁসে উঠলে তামিম-সৌম্য-সাকিব-মুশফিকের জন্য যুদ্ধজয় কঠিন হবে। পেসারদের মশলা বেশি থাকলে মোস্তাফিজ কোম্পানি আফগানদের গুড়িয়ে দেয়ার ক্ষমতা রাখে।
মেঘাচ্ছন্ন আবহাওয়ায় এখানে যে কোন দল আগে বল হাতে তুলে নেবে। তখন বিপক্ষ দল ২৫০ করতে হিমশিম খাবে। রৌদ্রোজ্জ্বল আবহাওয়ায়ও এই মাঠে ৩০০ স্কোর রেকর্ড সায় দেয় না। আফগানিস্তানের হারারবার কিছু নেই, তাই তারা আজ খেলতে পারবে চাপমুক্ত হয়ে। পক্ষান্তরে চাপটা বাংলাদেশের উপরে থাকবে বলে তারা আজ ফেভারিট হয়েও ফেভারিট নয়।