নড়বড়ে চট্টগ্রামের বিপক্ষে খুলনার দাপুটে জয়

বঙ্গবন্ধু বিপিএল

চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপিএলের শুরুটা হয়েছিল দুর্দান্ত। ইমরুল কায়েসের ঝোড়ো ফিফটিতে টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে সিলেট থান্ডারের বিপক্ষে ১৬২ রান তাড়া করে জিতেছিল দলটি। একদিন পরই দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যাটিংটা হয় নড়বড়ে। খুলনার বিপক্ষে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে দলটি তোলে ১৪৪।

খুলনার তিন পেসার রবি ফ্রাইলিংক, মোহাম্মদ আমির, শফিউল ইসলামের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে শুরু থেকেই চাপে ছিল চট্টগ্রাম। পাওয়ার প্লে’তে উইকেট না হারালেও প্রয়োজন অনুসারে রান তুলতে পারেননি চট্টগ্রামের দুই ক্যারিবিয়ান ওপেনার লেন্ডল সিমন্স ও চ্যাডউইক ওয়ালটন। প্রথম ৬ ওভারে ৩৯ রান তোলেন তারা।

সিমন্স ২৩ বলে ২৬ করে ফিরলে ভাঙে ৪৫ রানের ওপেনিং জুটি। পরে নাসির হোসেন, নুরুল হাসান সোহানরা দাঁড়ালেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। শেষদিকে মুক্তার আলি ১৪ বলে ৪ ছয়ে ২৯ রান করলে দেড়শর কাছাকাছি (১৪৪ রান) সংগ্রহ পায় চট্টগ্রাম। নাসির হোসেন ২৭ বলে ২৪, সোহান করেন ১৭ বলে ১৯ রান। একটি করে উইকেট নেন ফ্রাইলিংক, শফিউল, আমিনুল ইসলাম ও শহিদুল ইসলাম।

লক্ষ্য খুব বড় না, ১৪৫ রানের লক্ষ্যকে টি-টোয়েন্টিতে একেবারে ফেলনা বলারও উপায় নেই। কিন্তু খুলনা টাইগার্সের ব্যাটসম্যানরা এই রানকে পাত্তাই দিলেন না। মিরপুরে ব্যাটিং দাপট দেখিয়ে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে ৩৭ বল আর ৮ উইকেট হাতে রেখেই হারিয়ে দিয়েছে মুশফিকুর রহীমের দল।

অথচ রান তাড়ায় নেমে শুরুতেই নাজমুল হোসেন শান্তকে (৪) হারিয়ে ধাক্কা খেয়েছিল খুলনা। পরের ব্যাটসম্যানরা রীতিমত তাণ্ডব চালালেন চট্টগ্রামের বোলারদের ওপর। ১৯ বলে ৪ বাউন্ডারি আর ৫ ছক্কায় ৫০ রানের বিধ্বংসী এক ইনিংস খেলেন রহমানুল্লাহ গুরবাজ।

তৃতীয় উইকেটে ৪৭ বলে ৭২ রানের এক জুটিতে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছেড়েছেন মুশফিক আর রাইলি রুশো। ৩৮ বলে ৭ চার আর ২ ছক্কায় রুশো অপরাজিত থাকেন ৬৪ রানে। ২২ বলে ৪ বাউন্ডারিতে ২৮ রানে অপরাজিত ছিলেন মুশফিক।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!