চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বাসিন্দা মো. ছাবেরুল ইসলাম। তিনি ছিলেন নৌকার মাঝি। সাগরে মাছ ধরার পাশাপাশি জড়িয়ে পড়েন ইয়াবা ব্যবসার সঙ্গে। চট্টগ্রামের বড় বড় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তোলে শুরু করেন ইয়াবা ব্যবসা। টেকনাফ থেকে ইয়াবার চালান এনে বিক্রি করতেন চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায়। অবৈধ এ ব্যবসার মাধ্যমে গড়ে তোলেন অঢেল সম্পদের পাহাড়।
প্রায় দুই বছর আগে একটি জাতীয় দৈনিকে তার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ হলে শুরু হয় দুর্নীতি দমন কমিশনের অনুসন্ধান। অনুসন্ধানের পরিপ্রেক্ষিতে তার সম্পদের তালিকা চায় দুদক। সেখানে তিনি গোপন করেন তার সম্পদের পরিমাণ।
দুদকে দেওয়া সম্পদের বিবরণীতে তিনি ২৭ লাখ ৯০ হাজার ২৩১ টাকার সম্পদের তথ্যে গোপন করেছেন। এ দায়ে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে দুদক।
বুধবার (১০ মার্চ) দুপুরে দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-২ এর সহকারী পরিচালক রতন কুমার দাশ বাদি হয়ে তার বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করেন।
অভিযুক্ত মো. ছাবেরুল ইসলাম (৩৯) চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার দক্ষিণ পরুয়াপাড়ার মৃত আব্দুল হামিদের পুত্র।
দুদক সুত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালে মাদক ব্যবসার মাধ্যমে জ্ঞাত বর্হিভূত সম্পদ গড়ে তুলেন ছাবের ও তার ভাই হাসান মাঝি।
দুদকের নিকট তারা দুইজনই পৃথকভাবে তাদের সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন। সেখানে ছাবেরুল ইসলাম তার স্থাবর সম্পদের পরিমাণ দেখিয়েছেন ৪২ লাখ ৯৯ হাজার ও অস্থাবর সম্পদ ১৯ লাখ ২২ হাজার টাকা দেখিয়েছেন। তার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের মোট পরিমাণ ৬২ লাখ ২১ হাজার টাকা বলে দুদকের নিকট তথ্য প্রদান করা হয়।
দুদক অনুসন্ধানে মো. ছাবেরুল ইসলামের মোট স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের খোঁজ পায় ৯০ লাখ ২২ হাজার টাকা। সেই হিসেবে মো. ছাবেরুল ইসলাম ২৭ লাখ ৯০ হাজার ২৩১ টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন করার অপরাধে তাকে অভিযুক্ত করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-২ এর সহকারী পরিচালক রতন কুমার দাশ বলেন, ‘জ্ঞাত বহির্ভুত সম্পদের অর্জনের তথ্যে গোপন ও দুদকের চাওয়া সম্পদ বিবরণীতে ২৭ লাখ ৯০ হাজার ২৩১ টাকার সম্পদ গোপন করার দায়ের ছাবেরুল ইসলামের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।’
মুআ/কেএস