নীলগিরিতে মিঠুন চক্রবর্তীর রিসোর্টটি ভেঙে ফেলা হচ্ছে

বলিউড তারকা মিঠুন চক্রবর্তীর বিলাসবহুল রিসোর্ট ভাঙতে হবে। আগের একটি রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গেলেও বদল হয়নি আদেশ। মিঠুন আবেদনে জানিয়েছিলেন, তার রিসোর্টের মাধ্যমে এলাকার অনেক আদিবাসী পরিবারের জীবিকা নির্বাহ হয়।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, ২০১১ সালে মাদ্রাজ হাইকোর্ট তামিলনাড়ুর নীলগিরি জেলার মুদুমালাই জাতীয় উদ্যানের কাছে একটি নির্দিষ্ট এলাকায় তৈরি সব রিসোর্ট ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়েছিল।

সেই সঙ্গেই তামিলনাড়ু সরকারকে হাইকোর্ট পূর্ণ ক্ষমতা দেয় যে, ওই এলাকাকে তারা হাতিদের চলাচলের জন্য (এলিফ্যান্ট করিডর) চিহ্নিত করতে পারবে। মাদ্রাজ হাইকোর্টের রায়ই বুধবার বহাল রাখল দেশের শীর্ষ আদালত।

ওই এলাকায় বাঙালি অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী-সহ বেশ কিছু সেলিব্রিটির রিসোর্ট রয়েছে। রায়ের ফলে ভেঙে ফেলতে হবে সেখানকার আটশোরও বেশি নির্মাণ।

নীলগিরির ওই রিসোর্টগুলোর জন্য এলাকার বাস্তুতন্ত্রের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে দাবি করে ১৯৯৬ সালে প্রথমবার আদালতে আরজি জানানো হয়। তার পরে ২০০৭-০৮ সালে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন জনস্বার্থ মামলা দায়ের করে।

আবেদনকারীরা জানায়, হাতি করিডরের একেবারে গা ঘেঁষে রিসোর্ট তৈরি হওয়ায় সেখানে জনসমাগম বাড়ছে। যার জেরে হাতিদের যাতায়াতের অসুবিধা হচ্ছে। তারা বারবার পথ পরিবর্তন করছে, যার ফলে গোটা জঙ্গল ও বন্যপ্রাণ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

২০১১ সালে মাদ্রাজ হাইকোর্ট তার রায়ে রিসোর্টগুলো ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেয়। কিন্তু মিঠুনসহ মোট ৩২ জন আবেদনকারী সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। মিঠুন আবেদনে জানিয়েছিলেন, তার রিসোর্টের মাধ্যমে এলাকার অনেক আদিবাসী পরিবারের জীবিকা নির্বাহ হয়। রিসোর্ট মালিকদের একাংশের আরও বক্তব্য ছিল, তারা আইন মেনে ওই এলাকায় স্থাপনা তৈরি করেছেন।

এমএহক

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

ksrm