‘নিষ্ঠুরতা’ মা-বাবাকে কুপিয়ে পিটিয়ে আহত করলো ছেলে, পরে গ্রেপ্তার

চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে মা-বাবাকে কুপিয়ে, রড দিয়ে পিটিয়ে আহত করেছে প্রবাস ফেরত ছেলে। ঘটনার খবর শুনে পুলিশ হামলাকারী ছেলেকে গ্রেপ্তার করেছে। নিষ্ঠুর এ ঘটনা ঘটেছে উপজেলার উত্তর জলদী লস্কর পাড়া গ্রামে।

হামলায় আহত মা-বাবা বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে পুলিশ নিজ উদ্যোগেই হামলাকারী ছেলে মো. এনায়েত উল্লাহকে (৪০) উপজেলা সদর থেকে গ্রেপ্তার করেছে।

আহতরা হলেন- বাবা মো. আবুল কাশেম (৮২) এবং মা ছলিমা খাতুন (৫৮)।

জানা যায়, বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) রাত ৮টায় নিজ বাড়ি লস্কর পাড়ায় প্রবাস ফেরত এনায়েত উল্লাহ মা-বাবাকে পিটিয়ে আহত করে। হামলার পরও ক্ষান্ত না হয়ে মা-বাবার ঘরে ভাংচূর চালিয়েছ।

এ ঘটনায় আহত বাবা মো. আবুল কাশেম বাদি হয়ে ছেলে, ছেলের বঊ রুমা আক্তারসহ আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে বাঁশখালী থানায় এজাহার দায়ের করেছেন।

প্রত্যক্ষদর্শী ও প্রতিবেশি সূত্রে জানা গেছে, মো. আবুল কাশেমের ৪ ছেলে ও ৬ মেয়ে। বড় ছেলে সড়ক দূর্ঘটনায় মারা গেছেন। মেঝ ছেলে সৌদি প্রবাস ফেরত এনায়েত উল্লাহ অর্থশালী হওয়ায় আলাদাভাবে পাকা দালান করে বসবাস করছেন। অপর দুই ছেলে মো. মহসীন ও মো. এমদাদ মা-বাবার ভরণ পোষণ করেন।

এর মধ্যে তিন ভাইদের মধ্যে নানা কারণে মামলা মোকদ্দমা চলে আসছিল। মেঝ ছেলে অর্থশালী হওয়ায় তার দায়ের করা নানা মামলা মোকদ্দমার চাপে অন্য দুই ছেলে পুলিশের ভয়ে এখন বাড়ি ছাড়া। এই নিয়ে মেঝ ছেলে এনায়েত উল্লাহর সাথে মা-বাবার কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে এনায়েত উল্লাহ তার মা ছলিমা খাতুনকে দা দিয়ে মাথায় কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। এরপর লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে বাবাকে পঙ্গু করে দিয়েছে।

মামলার বাদি মো. আবুল কাশেম বলেন, ‘অর্থশালী ছেলে এনায়েত উল্লাহ আমাদের ভরণ পোষণ করে না। অন্য দুই ছেলে ভরণ পোষণ করে। সম্প্রতি এদেরকে বিভিন্ন মামলা মোকদ্দমার আসামি করে এনায়েত উল্লাহ তাদের বাড়ি ছাড়া করেছে। এর কারণ জিজ্ঞাসা করতে গিয়ে নিজ ছেলের হাতে পিটুনি খেয়ে আমি পঙ্গু হয়ে গেলাম। স্ত্রী ছলিমা খাতুনের মাথায় গুরুতর জখম হয়ে গেছে। থানায় মামলা করলাম। এই বিচার কোথায় পাব, আমার নিরহ ছেলেরা কবে ঘরে ফিরবে?

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সফিউল কবির বলেন, ঘটনার পর পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে হামলাকারী ছেলে এনায়েত উল্লাহকে গ্রেপ্তার করেছে। বাবা বাদি হয়ে ছেলের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। অন্যান্য আসামিদের বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

কেএস/এসএ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!