নির্বাচন কমিশনারও বললেন, ‘চট্টগ্রামের নির্বাচন অনিয়মের নির্বাচনের মডেল’

‘সাড়ে ২২ ভাগ ভোট গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার নিয়ামক হতে পারে না’

এবার খোদ নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদারই বললেন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচন অনিয়মের নির্বাচনের একটি মডেল। তিনি বলেছেন, ভবিষ্যতে এই মডেল অনুসরণ করা হলে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বসভায় আত্মমর্যাদা সমুন্নত রাখা যাবে না।

বুধবার (২৭ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনার এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘নির্বাচনকে যথাযথ মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করে গণতন্ত্রের অভিযাত্রায় শামিল হতে চাই।’

মাহবুব তালুকদার বলেন, ‘চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে যে অরাজকতা দেখা গেছে, তাতে আমি হতাশ। আমার আশঙ্কাই শেষ পর্যন্ত সত্য হলো এবং সাবধানবাণীতে কোনো কাজ হলো না। নির্বাচনের পূর্বে ও নির্বাচনকালে মোট চারজনের প্রাণহানি প্রকারান্তরে চারটি পরিবারের প্রাণহানির নামান্তর।’

তিনি বলেন, ‘সহিসংতা, কেন্দ্র দখল, পুলিশের গাড়ি ও ইভিএম ভাঙচুর ইত্যাদি ঘটনা এই নির্বাচনকে কলঙ্কিত করেছে। এ ধরনের তাণ্ডব বন্ধ করতে আমাদের সুষ্ঠু নির্বাচনের পথ খুঁজে পেতে হবে। নির্বাচন প্রক্রিয়ার পরিবর্তন ব্যতীত তা সম্ভব হবে না। এ জন্য দলমত-নির্বিশেষে সকলের ঐকমত্য হওয়া প্রয়োজন।’

মাহবুব তালুকদার আরও বলেন, ‘চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোট পড়েছে শতকরা সাড়ে ২২ ভাগ মাত্র। এত অল্পসংখ্যক ভোট গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার নিয়ামক হতে পারে না। এই পরিস্থিতি নির্বাচনের প্রতি জনগণের আস্থাহীনতার পরিচায়ক, যা গণতন্ত্রের জন্য এক অশনিসংকেত। সুষ্ঠু পরিবেশে অবাধ, নিরপেক্ষ, আইনানুগ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হলে ভোটার উপস্থিত অবশ্যই বেশি হতো। স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরে আমরা সার্বিকভাবে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে পারব না, তা মেনে নেওয়া যায় না।’

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

ksrm