নিরাপদ বাহন মনে করে খেলোয়াড়দের হাতে তুলে দেয়া হয় ইয়াবা

১৬৪ ধারায় জবানবন্দি

0

ইয়াবা কারবারিরা বিদেশি এবং জাতীয় পর্যায়ের খেলোয়াড় পরিচয় পেয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সন্দেহের উর্ধ্বে থাকবে মনে করেছিল। তাই নিরাপদ বাহক হিসেবে মাদকপাচারকারীরা মাসুদ, ফ্রাঙ্ক ও রিচার্ডকে বেছে নিয়েছে।

শনিবার (৪ জানুয়ারি) রাত ৯টার দিকে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন-১ এর ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ খাইরুল আমীন আদালতে বিশেষ ১৬৪ ধারায় দেয়া জবানবন্দিতে এমন তথ্য পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্ত সম্পৃক্ত এক পুলিশ কর্মকর্তা।

জবানবন্দি শেষে আদালত দুই বিদেশিসহ তিন ফুটবলারকে কারাগারে পাঠিয়েছেন। একই সঙ্গে মাসুদ নামে জাতীয় দলের ফুটবলারের ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

s alam president – mobile

বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারি কমিশনার (প্রসিকিউশন) কাজী শাহাবুদ্দিন আহমেদ বলেন, গ্রেপ্তার হওয়া দুই বিদেশি খেলোয়াড়ের কাছ থেকে ১৬৪ ধারা জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে। তারা কক্সবাজার থেকে ফেরার সময় ইয়াবা আনার কথা স্বীকার করেছেন। একই ঘটনায় মাসুদ নামে জাতীয় ফুটবলারকে ৫ দিনের রিমান্ড আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ৪দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। তিনজনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এর আগে শুক্রবার দিবাগত রাত ১টা ৩০ মিনিটে চট্টগ্রামের শাহ আমানত সেতু এলাকা থেকে অভিযান চালিয়ে শ্যামলী পরিবহন থেকে ঘানার জাতীয় দলের দুই খেলোয়াড়কে সাড়ে ৭ হাজার ইয়াবা সহ গ্রেপ্তার করে বাকলিয়া থানা পুলিশ। পরে তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী শনিবার ভোর ৬টায় বাংলাদেশি জাতীয় দলের খেলোয়াড মো. মাসুদকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনজনের বিরুদ্ধে বাকলিয়া থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এরপর শনিবার সন্ধ্যায় তাদের আদালতে পাঠানো হয়।

গ্রেপ্তার হওয়া খেলোয়াড়রা হলেন, ঘানার নাগরিক ফ্রাঙ্ক টিম টম (৪০) এবং রিচার্ড জিফা এপিয়া (২৯)। বাংলাদেশি অপরজনের নাম মো. মাসুদ (২৬)। মাসুদ কুমিল্লার দাউদকান্দি এলাকার বাসিন্দা। জাতীয় পর্যায়ে তিনি অনূর্ধ-১৯ ফুটবল দলে খেলতেন।

Yakub Group

মুআ/এসএ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!