নিজের মনে করে পাহাড় কেটে বাড়ি করছিলেন বায়েজিদের ব্যবসায়ী
পরিবেশ অধিদপ্তরের অভিযানে গুণতে হলো জরিমানা
নিজের পাহাড় মনে করে চট্টগ্রামের বায়েজিদ এলাকায় পাহাড় কেটে বাড়ি নির্মাণ করছিলেন ব্যবসায়ী নাছির উদ্দিন। তাই তিনি পাহাড় কাটার জন্য কারও কাছ থেকে অনুমতি নেয়া বা প্রশাসনকে তোয়াক্কা করা প্রয়োজন মনে করেননি। তবে শেষমেষ প্রায় আড়াই লাখ টাকা জরিমানা গুণতে হলো পাহাড়খেকো এ ব্যবাসয়ীকে।
বুধবার (১৮ আগস্ট) পাহাড় কাটার অপরাধে বায়েজিদের সমবায় আবাসিক প্রকল্প এলাকায় অভিযান চালিয়ে ব্যবসায়ী নাছির উদ্দিনকে এ জরিমানা করা হয়। একই সময় ছাড়পত্র ছাড়া প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করায় ৪টি প্রতিষ্ঠানকে আরও ২ লাখ ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের অভিযানে জরিমানা গুণতে হয় দি নাগরিক কো-অপারেটিভ সোসাইটি এলাকার ড্রিমল্যান্ড, মেসার্স আল্লামা ওয়াশিং প্লান্ট, নাসিরাবাদ শিল্প এলাকার ফেব্রিক কানেকশান ও দি নাগরিক কো-অপারেটিভ সোসাইটি এলাকার মেগা ফার্নিচারকে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মহানগর কার্যালয়ের পরিচালক মোহাম্মদ নুরুল্লাহ নুরী জানান, অভিযানে গিয়ে অনুমোদনহীন কাজকর্ম দেখে মনে হয়েছে আমরা মগের মুল্লুকে বাস করছি। নিয়মিত এ অভিযান পরিচালনা করি আমরা। তারপরও নিয়মবিরোধী কাজ হয়েই চলেছে।
তিনি জানান, পাহাড় কেটে বাড়ি নির্মাণ করছিল ব্যবসায়ী নাছির উদ্দিন। এ অপরাধে নাসির উদ্দিনকে ২ লাখ ৪৬ হাজার ২০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া ছাড়পত্রবিহীন বহুতল ভবন নির্মাণের দায়ে ড্রিমল্যান্ডকে ২৫ হাজার টাকা, জরিমানা করা হয়েছে।
এছাড়া ছাড়পত্র ও ইটিপিবিহীন প্রতিষ্ঠান পরিচালনার দায়ে মেসার্স আল্লামা ওয়াশিং প্লান্টকে ১ লাখ টাকা, ছাড়পত্র নবায়নবিহীন ও ইটিপি অকার্যকর রেখে প্রতিষ্ঠান পরিচালনার দায়ে ফেব্রিক কানেকশানকে ৭৫ হাজার টাকা ও ছাড়পত্রবিহীন ফার্নিচার কারখানা প্রতিষ্ঠান পরিচালনার দায়ে মেগা ফার্নিচারকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, পরিবেশ অধিদপ্তরের এ অভিযান চলমান থাকবে। ভবিষ্যতেও আজকের মত আগামীতে পাহাড়খেকোদের অপরাধের আওতায় এনে জরিমানা করা অব্যাহত থাকবে।
আইএমই/কেএস