সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দিনভর বিদ্রুপের মুখে অবশেষে আত্মপক্ষ সমর্থন করলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী।
শুক্রবার (২ জুলাই) বিকেলে চট্টগ্রাম নগরীর বহদ্দারহাটের বাসায় উপস্থিত সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে মেয়র রেজাউল বলেন, ‘আমার বাড়ির সামনে জমে থাকা পানির মতো কোথাও কোথাও ১২ থেকে ১৮ ঘন্টা, এমন কি ২৪-৪৮ ঘন্টায়ও পানি সরে যেতে পারেনি। সেখানে নাগরিক দুর্ভোগ চরম মাত্রাকেও ছাড়িয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘চসিকের নিয়মিত পরিষ্কার অভিযানে দেখা যায় আবর্জনার এক-তৃতীয়াংশই থাকে পলিথিন ও প্লাস্টিক জাতীয় পণ্যের বর্জ্য। এসব বর্জ্য অসচেতনভাবে খাল ও নালায় নিক্ষেপ করছে মানুষ। ফলে জলাবদ্ধতা নিরসনে ও পানি নিষ্কাশনে অন্তরায় হয়ে আছে পলিথিন ও প্লাস্টিক পণ্যের বর্জ্য। এমন সময়ে চট্টগ্রাম শহরকে জলাবদ্ধতামুক্ত রাখা, পরিবেশ রক্ষা ও কর্ণফুলী নদীর প্রবহমানতা ফিরিয়ে আনতে ড্রেজিং কাজে বড় বাঁধা এসব প্লাস্টিক পণ্য ও পলিথিন। পলিথিনের ভয়াবহ আগ্রাসন থেকে নদী ও শহর বাঁচাতে পর্যায়ক্রমে পলিথিন উৎপাদন বন্ধ করতে চাই আমরা।’
সমম্বয়হীনতা ও নাগরিক অসচেতনতা নাগরিক জীবনে অভিশাপ নিয়ে আসে বলে মন্তব্য করে মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, ‘সমম্বয়ের অভাবে জনগণের অর্থ ও সময়ের অপচয় হয়, নাগরিক দুর্ভোগ বাড়ে। ফলে সরকারি সেবা সংস্থাগুলোর ওপর মানুষের মনে বিরূপ ভাব, আস্থার সংকট ও অসহযোগিতার মনোভাব দেখা যায়।’
তিনি বলেন, ‘দায়িত্ব গ্রহণের সাথে সাথেই ১০০ দিনের কাজের পরিকল্পনায় রুটিন কাজকে অব্যাহত রেখে অধিকতর জরুরি কিছু সেবাকাজকে অগ্রাধিকার দিয়ে প্যাচওয়ার্ক শুরু করি।’
অতিবৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে জলাবদ্ধতা ও জলামগ্নতা চট্টগ্রামের দীর্ঘদিনের সমস্যা বলে উল্লেখ করে চট্টগ্রাম সিটির মেয়র বলেন, ‘বর্ষা মৌসুম শুরুর অনেক আগে থেকেই আমি শংকা করছিলাম অল্প বৃষ্টিতেই বন্ধ পানি নগরীর অলি, গলি ও রাস্তাঘাট ডুবিয়ে বাসাবাড়িতে প্রবেশ করে অবর্ণনীয় দুর্দশার সৃষ্টি করতে পারে। তাই সিডিএকে অনুরোধ করেছিলাম বর্ষা মৌসুমের জন্য অস্থায়ীভাবে ও দ্রুততার সঙ্গে খাল-নালার বিভিন্ন জায়গার বাঁধগুলো অপসারণ করতে এবং খালের মুখে পানি বের করার জন্য অস্থায়ী পথগুলোকে আরো সম্প্রসারিত করতে। যে কোন কারণেই হোক এটি করা হয়নি বা করা তাদের পক্ষে সম্ভব হয়নি। তাই মৌসুমের প্রথম পসলা বৃষ্টিতেই নগরীর অধিকাংশ এলাকা পানিতে ডুবে যায়।’