নিজের ছবির সাথে দুদকের লোগোযুক্ত পোস্টার, নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি

শেখের দত্ত। চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি তিনি। নিয়ম না থাকলেও মহান বিজয় দিবসের পোস্টারে নিজের ছবি দিয়ে লাগিয়েছে দুদকের লোগো। বিষয়টি নিয়ে উপজেলার পাড়া-মহল্লা ও অলিগলিতে রীতিমতো ফেলে দিয়েছে হইচই।

দুদক কর্মকর্তারা বলছেন, দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির কোনো সদস্যের দুর্নীতি দমন কমিশনের লোগো ব্যবহার করার সুযোগ নেই। এমনকি দুদকের কর্মকর্তা, কর্মচারীদের গাড়িতেও এই লোগো ব্যবহার নিষিদ্ধ।

অভিযোগ রয়েছে, দুর্নীতি দমন কমিশনের লোকপরিচয় ও দুদকের লোগো ব্যবহার করে উপজেলার মধ্যে এক ধরনের ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছেন শেখের দত্ত। পাড়া পাড়ায় দেয়ালে সাটানো এ পোস্টারগুলোর ছবি পোস্ট দেওয়া হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকেও।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাঁশখালীজুড়ে দেয়ালে সাটানো দুর্নীতি বিরোধী পোস্টারগুলোতে নিজের ছবি ব্যবহার করেছেন শেখের দত্ত। তার সঙ্গে ব্যবহার করেছেন তিনি দুদকের লোগো। সেই ছবি আবার তিনি পোস্ট করেন তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতেও। এছাড়া বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিসের প্রবেশমুখে লাগানো দুদকের পোস্টারেও নিজের ছবির সাথে তোলে সেটিও ফেসবুকে দিয়েছেন তিনি।

বিতর্কিত পোস্টারের সামনে বাঁশখালী উপেজলার ৩ নম্বর খানখানাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশের সদস্য শাহজাহানকে দাঁড় করিয়ে ছবি তুলে তাও ফেসবুকে দিয়েছেন শেখে দত্ত।

বাশঁখালীর পুকুরিয়া, বৈলগাও, বানীগ্রাম, সাধনপুর, কোকদন্ডী, কালীপুর, বৈলছড়ী, সরল, চাম্বল, কাথারিয়া, খানখানাবাদ, চনুয়া, গন্ডামারা, বাহারছড়া, জলদি পৌরসভা এলাকা, শেখেরখীল, হাজিগাঁও, পালেকগ্রাম, পুইছড়ী, শীলকূপসহ বাঁশখালীর বিভিন্ন এলাকায় এসব পোস্টার লাগানো হয়েছে।

এ শেখের দত্ত বলেন, ‘বিজয় দিবসের পোস্টারে ব্যক্তিগত ছবির সঙ্গে দুদকের ছবি ব্যবহার হয়েছে আমার অজান্তে। এটা ঠিক হয়নি।’

জানতে চাইলে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-২ এর উপপরিচালক মো. মাহবুবুল আলম বলেন, ‘এ ধরনের কাজ কে বা কারা করছেন তা আমরা জানিনা। আমরা খোঁজ নিচ্ছি।’

এর আগে ২০১৮ সালের ২২ ডিসেম্বর দুদকের কর্মকর্তা, কর্মচারীদেরও লোগোযুক্ত কোনো কিছু ব্যবহার না করার নির্দশনা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

মুআ/এমএফও

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!