নিউট্রি-চ্যাম্পস/ রান্না প্রতিযোগিতার আঞ্চলিক পর্ব চট্টগ্রামে

চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে রান্নায় আগ্রহী শিক্ষার্থীদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘নিউট্রি-চ্যাম্পস’ প্রতিযোগিতার আঞ্চলিক পর্ব। রাঁধি ও খাই, পুষ্টি ভুলি নাই! এই স্লোগান নিয়ে ‘নিউট্রি-চ্যাম্পস’ প্রতিযোগিতার ধারা শুরু হয়েছে।

এই প্রতিযোগিতার মূল উদ্দেশ্য তরুণ-তরুণীদের রান্নায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে পুষ্টিকর ও সুস্বাদু খাবার তৈরিতে উৎসাহ প্রদান করা এবং দৈনন্দিন খাদ্যভাসে সঠিক পুষ্টি ও স্বাস্থ্যকর খাবারের উপস্থিতি নিশ্চিত করা।

শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) নগরীর আগ্রাবাদ হোটেলে সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত এ প্রতিযোগিতার অনুষ্ঠান ধারণ করা হয়। ফিড দ্য ফিউচার ও ইউএসএআইডি’-উজ্জীবন প্রজেক্টের আওতায় এই রান্নার প্রতিযোগিতাটি আয়োজন করেছে ইউএসআইডির বিভিন্ন প্রকল্প, জনস হপকিন্স সেন্টার ফর, কমিউনিকেশন প্রোগ্রামস, ওয়ার্ল্ড ফিশ, এসিডিআই-ভোকা (এলপিআইএন ও আরডিসি), এবট অ্যাসোসিয়েটস এবং বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। প্রতিযোগিতাটিতে বাছাইকৃত নগরীর ১০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে রান্নায় আগ্রহী শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে।

প্রতিযোগিতায় বিচারক ছিলেন শেভরণ বিশেষায়িত হাসপাতালের ডায়েটিশিয়ান ও পুষ্টি পরামর্শদাতা হুমাইরা খানম এবং চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিভাসু) ফলিত খাদ্য বিজ্ঞান ও পুষ্টি বিভাগের চেয়ারম্যান মো.আলতাফ হোসেন। উপস্থাপনা করেন টেন মিনিট স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা আয়মান সাদিক এবং রান্না বিশেষজ্ঞ নাহিদ ওসমান।

সিভাসুর ফলিত খাদ্য বিজ্ঞান ও পুষ্টি বিভাগের চেয়ারম্যান মো.আলতাফ হোসেন বলেন,‘শিক্ষার্থীদের নিয়ে এ ধরনের আয়োজন সত্যিই দারুন। এর ফলে সকলের মাঝে পুষ্টিকর ও স্বাস্থ্যসম্মত খাবার গ্রহণে সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে এবং তরুণদের ভেতর আরও উৎসাহ বাড়াবে।

প্রতিযোগিতা শেষে অংশগ্রহণকারী এবং বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কার প্রদান করা হয়। ‘নিউট্রি-চ্যাম্পস’ প্রতিযোগিতাটি আগামী কয়েক মাস ধরে দেশের বিভিন্ন বিভাগীয় শহরে অনুষ্ঠিত হবে। চট্টগ্রাম পর্বের বিজয়ী ২টি দল, সরকারি সিটি কলেজ এবং র্পোট সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনির্ভাসিটি চূড়ান্ত পর্বে অংশগ্রহণ করবে। যৌথ উদ্যোগটির উদ্দেশ্য ইউএসআইডির মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকারের জাতীয় পুষ্টি ও জনসেবা কার্যক্রমের লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা প্রদানের পাশাপাশি তরুণ প্রজন্মকে পুষ্টিকর ও স্বাস্থ্যসম্মত খাবার গ্রহণে উৎসাহ প্রদান করা। তরুণ শিক্ষার্থী এবং সাধারণ মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য ও শিক্ষার উন্নতি সাধন, সেই সাথে সুস্থ ও সমৃদ্ধশীল তরুণ জাতি গঠনে সচেতনতা বৃদ্ধি করাই মূল উদ্দেশ্য।

এসআর/এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!