নিউইয়র্কে জঙ্গি হামলা চালানো চট্টগ্রামের ছেলের পরিবারও বিপদে (ভিডিও)

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জঙ্গি হামলার পরিকল্পনার অভিযোগে গ্রেপ্তার চট্টগ্রামের সন্দ্বীপের ছেলে আকায়েদ উল্লাহর কারণে বিপদে পড়ে গেছে তার পরিবারও।

পারিবারিক অভিবাসনে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়া ওই পরিবারটিকে গত দুই বছর ধরে মার্কিন ইমিগ্রেশন বিভাগ নজরদারিতে রেখেছে। নানা সময় তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ইমিগ্রেশন ও আদালতে হাজিরাসহ নানাভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছেন তারা— এমন অভিযোগ নিউইয়র্কভিত্তিক নাগরিক সংগঠনগুলোর।

৬ নভেম্বর আকায়েদের পরিবার নিউইয়র্কের ফেডারেল প্লাজায় হাজিরা দিতে গেলে ইমিগ্রেশন বিভাগ তার মা দিলরুবা বেগম (৫৪) ও বোন আয়ফা হায়াতকে (২২) আটক করে। পরে তাদের এলিজাবেথ আটককেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। গ্রিন কার্ড নিয়ে বৈধ অভিবাসী হওয়া সত্ত্বেও তাদের অভিবাসনে মিথ্যা তথ্য দেওয়ার অভিযোগ এনে এই দুজনকে আটক করা হয়। দিলরুবা বেগম শারীরিকভাবে অসুস্থ, আয়ফা কলেজশিক্ষার্থী। দুদিন পর শুক্রবার (৮ নভেম্বর) দিলরুবা (৫৪) ও আয়ফাকে (২২) ডিটেনশন সেন্টার থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। নিউইয়র্কভিত্তিক স্বেচ্ছাসেবী নাগরিক সংগঠন ড্রাম (দেসিজ রাজিং আপ অ্যান্ড মুভিং) তাদের আইনগত সহযোগিতা দিচ্ছে।

এর আগে গত ২২ অক্টোবর আকায়েদ উল্লাহর বড় ভাই মার্কিন নাগরিক আহসান উল্লাহকে নিউইয়র্কের ব্রুকলিনে তার বাড়ির সামনে থেকে আটক করা হয়। মিথ্যা তথ্য দিয়ে অভিবাসী হওয়ার অভিযোগ এনে ২০ বছর ধরে আমেরিকায় থাকা আহসানের নাগরিকত্ব ইতিমধ্যে বাতিল করা হয়েছে। তাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর জন্য হাডসন কারাগারে রাখা হয়েছে।

চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলার ছেলে আকায়েদ উল্লাহ পরিবারের সঙ্গে ব্রুকলিনের ফ্ল্যাটল্যান্ডস এলাকায় থাকতেন। তিনি কাজ করতেন বৈদ্যুতিক সামগ্রীর দোকানে। ২০১৭ সালের ১১ ডিসেম্বর নিউইয়র্কের ব্যস্ততম বাস টার্মিনালে ‘সন্ত্রাসী হামলার চেষ্টার’ অভিযোগে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।

২০১৭ সালের ১১ ডিসেম্বর সকালে অফিসগামী যাত্রীদের ভিড়ে টাইম স্কয়ার সাবওয়ে স্টেশন থেকে ম্যানহাটনের পোর্ট অথরিটি বাস টার্মিনালে যাওয়ার ভূগর্ভস্থ পথে বিস্ফোরণ ঘটান আকায়েদ উল্লাহ। তিনি নিজের শরীরে ‘পাইপ বোমা’ বেঁধে নিয়েছিলেন। কিন্তু বোমাটি ঠিকমতো বিস্ফোরিত হয়নি। এতে প্রাণে বাঁচলেও গুরুতর আহত হন আকায়েদ। আহত অবস্থায় পুলিশ তাকে আটক করে। এ বিস্ফোরণে আহত হন আরও তিন পুলিশ সদস্য। পরে নিউইয়র্ক পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আকায়েদ জানান, আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটের (আইএস) মাধ্যমে অনুপ্রাণিত হয়ে এই হামলা চালিয়েছেন।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!