চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম এখন থেকে পরিচিত হবে ‘বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান ক্রিকেট স্টেডিয়াম’ নামে।
রোববার (২৩ মার্চ) জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে। এতে একইসঙ্গে নারায়ণগঞ্জের খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামের নাম বদলে রাখা হয়েছে শহীদ রিয়া গোপ ক্রিকেট স্টেডিয়াম।
জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম আইসিসি অনুমোদিত টেস্ট প্লেয়িং আন্তর্জাতিক ক্রিকেট মাঠগুলোর একটি। এটি আগে বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ রুহুল আমিন স্টেডিয়াম হিসেবে পরিচিত ছিল। চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্টেডিয়াম হিসেবে স্টেডিয়ামটির পরিচিতি রয়েছে। বাংলাদেশের এই মাঠে ২০০৪ সালে অনুষ্ঠিত আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপ হয়েছে। ওই বিশ্বকাপের উদ্দেশ্যেই সংস্কার করা হয়েছিল মাঠটি। স্টেডিয়ামটি ২০০৬ সালের জানুয়ারিতে পূর্ণ আন্তর্জাতিক মর্যাদা পায়। বন্দরনগরী চট্টগ্রামের সাগরিকায় এটি অবস্থিত। স্টেডিয়ামটির পাশেই রয়েছে বঙ্গোপসাগর। ২০১১ ক্রিকেট বিশ্বকাপে এই মাঠে গ্রুপ-পর্বের দুটি খেলা অনুষ্ঠিত হয়।
গত জুলাইয়ে ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানের সময় ছাদে খেলতে গিয়ে মাথায় গুলি লাগে ছয় বছরের রিয়া গোপের। পাঁচ দিন হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করে সে। তার স্মরণে ধানমন্ডির সুলতানা কামাল মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্সের নাম বদলেও করা হয়েছে ‘রিয়া গোপ মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্স’।
রোববার বিভাগীয় পর্যায়ে দুটি ক্রীড়া স্থাপনা/স্টেডিয়াম, জেলা পর্যায়ে ১৬টি ও উপজেলা পর্যায়ে দুটি স্টেডিয়ামের নতুন নামকরণ করা হয়েছে। রাজশাহীর শহীদ কামারুজ্জামান স্টেডিয়ামের নাম বদলে করা হয়েছে বিভাগীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম। গত মাসে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের নাম বদলে করা হয়েছে ‘জাতীয় স্টেডিয়াম, ঢাকা’।
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বেশ কিছু স্টেডিয়ামের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। উপজেলা পর্যায়ে ১৫০টি স্টেডিয়ামের নাম বদল হয় ১২ ফেব্রুয়ারি। শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম নামে পরিচিত এই স্টেডিয়ামগুলোর নতুন নামকরণ হয়েছে নিজ নিজ উপজেলার নামে।