নামি কোম্পানির লেবেল লাগিয়ে বিষাক্ত কেমিক্যালে বানায় নকল জীবাণুনাশক ও হারপিক

দেওয়ানহাটে মালিকের ৬ মাসের কারাদণ্ড

করোনার অজুহাতে চট্টগ্রামে বেড়েছে ডেটল, স্যাভলন, হ্যান্ড স্যানিটাইজারসহ বিভিন্ন ধরনের জীবাণুনাশক পণ্যের দাম। এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী চট্টগ্রামের রেয়াজুদ্দিন বাজার, হাজারী গলিসহ নগরির অলিতে-গলিতে বিক্রি করছে নকল জীবাণুনাশক। জেলা প্রশাসন বার বার অভিযান চালালেও এসব অসাধু ব্যবসায়ী থেকে যান ধরাছোঁয়ার বাইরে। অবশেষে নগরের দেওয়ানহাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে চট্টলা নাম দিয়ে নকল জীবাণুনাশক তৈরির এক কারখানার মালিক মো. রাশেদকে আটক করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

সোমবার (২৯ জুন) দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৪টা এ অভিযান পরিচলানা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. উমর ফারুক। এ সময় নকল জীবাণুনাশক তৈরির কারখানার মালিক রাশেদকে ৬ মাসের কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. উমর ফারুক বলেন, বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত ও জেলা প্রশাসনের অভিযানে নকল জীবাণুনাশকের খবর বেরিয়ে আসলেও কারখানার সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল না। নগরের বিভিন্ন ফার্মেসি ও দোকানে বিক্রি হওয়া নকল ও ভেজাল জীবাণুনাশক বিক্রির দায়ে জব্দ ও জরিমানা করলেও মূলহোতা ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যায়। আজ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দেওয়ানহাট এলকার সুপারিপাড়ার চট্টল ক্যামিক্যাল নামের এক নকল জীবাণুনাশক কারখানায় অভিযানে গিয়ে দেখি রাশেদ খান বড় ড্রামে রং, ক্যামিক্যাল ও ফ্লেভারের মিশ্রণে নকল হ্যান্ডস্যানিটাইজার, হ্যাক্সিসলসহ নানা জীবাণুনাশক ও হারপিক তৈরি করছে। তিনি বিভিন্ন নামিদামি কোম্পানির লেভেল লাগিয়ে এগুলো বিক্রি করছে। অভিযানে প্রায় ২০ লাখ টাকার নকল জীবাণুনাশক জব্দ করা হয়েছে। এছাড়া চট্টল কারখানার মালিককে ৬ মাসের কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

সিএম/এএইচ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!