চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ১৯ নম্বর দক্ষিণ বাকলিয়া ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী নুরুল আলমকে সমর্থন দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন বিদ্রোহী প্রার্থী মো. আব্দুল মান্নান। তবে এই মুহূর্তে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সুযোগ না থাকলেও দলীয় প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা চালাবেন তিনি। নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আ জ ম নাছির উদ্দিন ও স্থানীয় সাংসদ মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের মধ্যস্থতায় তিনি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন— এমনটি জানিয়েছেন মান্নান নিজেই।
বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরীর কাছে লিখিতভাবে নিজের এই মনোভাবের কথা জানান মো. আব্দুল মান্নান।
চসিক নির্বাচনে দলের নির্দেশ মেনে কোনো বিদ্রোহী প্রার্থীর নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর প্রথম ঘটনা এটি। আব্দুল মান্নান দক্ষিণ বাকলিয়া ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের গত কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক। এই মুহূর্তে দলীয় কোন পদ পদবিতে নেই তিনি।
অন্যদিকে দলের মনোনয়ন পাওয়া নুরুল আমিন ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত নুরুল আনোয়ার বাহারের বেয়াই।
নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর বিষয়ে আব্দুল মান্নান চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘আমি দলের মনোনয়ন চেয়ে পাইনি। কিন্তু নেতাকর্মীদের আগ্রহে আমি নির্বাচনে প্রার্থী হই। আমার ধারণা ছিল দল হয়তো সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতেও পারে। কিন্তু সেটা যখন হয়নি, তখন আমার মনে হলো দলের সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়াটা আমার দায়িত্ব।’
তিনি বলেন, ‘নৌকাকে বিজয়ী করাই সব কিছুর ওপরে রাখছি আমি। এখন যদি দলীয় প্রার্থী আর আমি এক সাথে নির্বাচনে থাকি তাহলে দলের ক্ষতি হওয়ার আশংকাও আছে। এ কারণে আমি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
সিনিয়র নেতাদের উদ্যোগেই এই প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হয়েছে মন্তব্য করে আব্দুল মান্নান বলেন, ‘আমাকে আমাদের সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন ভাই, আমার এলাকার সাংসদ মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ভাই ডেকে নিয়ে গিয়ে বুঝিয়েছেন। মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম ভাইও বলেছেন আগামীর রাজনীতির কথা চিন্তা করে আমি যেন নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াই। আমি উনাদের কথা মেনেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
আব্দুল মান্নানের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে ওই ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী নুরুল আলম বলেন, ‘নেত্রীর ও দলের সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়ায় উনাকে ধন্যবাদ। এখানে মেয়র ও কাউন্সিলর পদে দলীয় প্রার্থীর জয়ের জন্য আমরা সবাই একসাথে কাজ করবো।’
কেএস/সিপি