সম্প্রতি আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি সম্মেলনে নগর মহিলা আওয়ামী লীগ সভানেত্রী হাসিনা মহিউদ্দিনের মঞ্চে উঠানামা নিয়ে ঘটে যাওয়া ঘটনা নগরবাসী প্রত্যক্ষ করেছে। দেখেছে মঞ্চে বসা না বসাকে কেন্দ্র করে রাজনীতি কতটা অতি রাজনীতির কবলে পড়তে পারে। অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ থেকে রাজপথের কর্মসূচি পর্যন্ত গড়িয়েছিল সেদিনের ঘটনা পরবর্তী পরিস্থিতি। মঞ্চকাণ্ডকে ইস্যু করে হঠাৎ উত্তেজনা এবং খুব দ্রুতই এর প্রশমন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদেরও নজর কেড়েছে।
বিশ্লেষকদের মতে, এ ঘটনা একদিকে রাজনৈতিক দর কষাকষির চেষ্টা, অন্যদিকে কৌশলে ইস্যু তৈরির চেষ্টাকে ম্লান করা। ঘটনার একদিকে নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, অন্যদিকে হাসিনা মহিউদ্দিন। সেদিন প্রতিনিধি সম্মেলনের মঞ্চে বসতে না পারার ক্ষোভ ১ ডিসেম্বর বিজয় মেলার মঞ্চে দু’জনের পাশাপাশি বসার দৃশ্য দেখে আর আছে এমনটি মনে করছেন না মেলায় আগত দর্শনার্থী ও মেলার সুধিজন।
রোববার (১ ডিসেম্বর) বিজয় মেলা মঞ্চের এ দৃশ্য দেখে নগর আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যেন ভিন্নমাত্রা যোগ করলো। সম্মেলনের বিধি নিষেধের কড়াকড়ি বিজয় মেলার সম্প্রীতিতে যেন মিলনমেলায় পরিণত হলো। হয়তো তারা দু’জনই খুশি, নেতাকর্মীরাও খুশি।
রাজনৈতিক মহলের ধারনা, বিজয় মেলা মঞ্চে মেয়রের উপস্থিতি একদিকে যেমন মহিউদ্দিন চৌধুরীর প্রতি তাঁর সম্মান সমুজ্জ্বল করলো, তেমনি সিটি নির্বাচন নিয়ে তাঁর আগামীর পথচলায় দৃশ্যমান বিরোধ অবসানের সদিচ্ছার প্রকাশ ঘটলো। অন্যদিকে মহিউদ্দিন চৌধুরীকে ঘিরে গড়ে ওঠা বিজয় মেলায় মেয়রের উপস্থিতি মহিউদ্দিন পরিবার ও ওই পরিবারের সমর্থক অনুসারিদের জন্যও স্বস্থির হাওয়া বয়ে আনলো। রাজনীতির বিরোধের মঞ্চের বিপরীতে বিজয় মঞ্চ যেন আশা জাগানিয়া মঞ্চে পরিণত হলো।
এএ/এসএ