মিষ্টান্নের বাজারে বেশ খ্যাতি প্রিমিয়াম সুইটসের, দামও এর বেশ চড়া। অথচ তাদের কারখানার পরিবেশ এতোই নিম্নমানের যে, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের টিম পরিদর্শনে গিয়ে প্রায় নাক চেপে সরে এসেছে। নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের তালিকায় এই প্রতিষ্ঠানটি পেয়েছে মাত্র ২৪% মার্ক। একই অবস্থা আরেক নামি প্রতিষ্ঠান রস ফুডের। নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের তালিকায় এই প্রতিষ্ঠানটি পেয়েছে মাত্র ৬৭% মার্ক। অন্যদিকে বিক্রমপুর মিষ্টান্ন ভান্ডারের মার্ক মাত্র ৩৮%। খুবই খারাপ অবস্থা শাহী মিঠাই ও বাঙ্কার্স ক্যাফে অ্যান্ড রেস্টুরেন্টেরও। তালিকায় রয়েছে চট্টগ্রামের দুটি প্রতিষ্ঠানও— বনফুল ও মধুবন। ‘সি’ গ্রেডের এই সাতটি প্রতিষ্ঠানকে কোন গ্রেডেশন স্টিকারই দেয়নি নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। একমাস সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে এসব প্রতিষ্ঠানকে। নইলে কারখানা বন্ধ করে দেওয়া হবে।
বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ ঢাকায় ৩০টি খাদ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের মান যাচাই শেষে সনদ দিয়েছে। এতে ‘এ’ গ্রেডের স্টিকার পেয়েছে ১৪টি প্রতিষ্ঠান, ‘বি’ গ্রেড ৯টি এবং ‘সি’ গ্রেড ৭টি। ‘সি’ গ্রেডের কোন প্রতিষ্ঠানকে স্টিকার দেওয়া হয়নি বরং তাদের সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে একমাস— ৩০ জানুয়ারি ২০২০ পর্যন্ত। এই সময়ের মধ্যে মান সন্তোষজনক না হলে কারখানা সিলগালা করার কথা জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।
সরকারের অতিরিক্ত সচিব ও নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য মাহবুব কবির মিলন রোববার (২২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় তার ফেসবুকের ভেরিফাইড আইডিতে লিখেছেন, ‘প্রিমিয়াম সুইটস সবচেয়ে নামকরা এবং দামি মিষ্টি হিসেবে দেশে খ্যাত। বিশেষ করে ঢাকা শহরে। এদের কারখানার পরিবেশ এত খারাপ পাওয়া গেছে যে এদের কোন গ্রেডেশন স্টিকার দেওয়া হয়নি। ঢাকা শহরে দ্বিতীয় পর্যায়ে আজ স্টিকার দেওয়া হয়েছে মিষ্টি এবং বেকারি কারখানাকে। রস ফুড অ্যান্ড বেকারি (মিষ্টান্ন), বনফুল এন্ড কোম্পানি, মধুবন, বিক্রমপুর মিষ্টান্ন ভান্ডার (লেক সার্কাস), শাহী মিঠাই, বাঙ্কার্স ক্যাফে অ্যান্ড রেস্টুরেন্টকে কোন স্টিকার প্রদান করা হয়নি এবং ৩০ জানুয়ারি, ২০২০ পর্যন্ত এদের সময়। এরপর বন্ধ।’
এফএম/সিপি