নম্বর ঠিক রেখে গ্রামীণফোন ছাড়া যাবে দুই মাসেই

এখন থেকে যে কেউ তিন মাসের বদলে দুই মাসেই গ্রামীণফোন ছাড়তে পারবে। সাধারণত একজন গ্রাহক তার নম্বর ঠিক রেখে অপারেটর বদলানোর পর আবারও অপারেটর বদলাতে চাইলে তাকে ৯০ দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। বিটিআরসির নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী কোনো গ্রাহক গ্রামীণফোন ছাড়তে চাইলে তিন মাসের বদলে দুই মাস পার হলেই নতুন অপারেটরে যেতে পারবেন।

বর্তমানে গ্রামীণফোনের গ্রাহকের সংখ্যা সাত কোটি ৪৩ লাখ ৬১ হাজার গ্রাহক, যা দেশের মোট মোবাইল গ্রাহকের প্রায় অর্ধেক।

রোববার (২১ জুন) বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন—বিটিআরসির নতুন এক নির্দেশনায় বলা হয়েছে, নম্বর ঠিক রেখে অপারেটর বদলের ক্ষেত্রে গ্রামীণফোনের বেলায় ‘লকিং পিরিয়ড’ হবে ৬০ দিন, যেখানে অন্য অপারেটরদের ক্ষেত্রে তা ৯০ দিন। এই নির্দেশনা কার্যকর হবে ১ জুলাই থেকে।

এছাড়া গ্রামীণফোনকে পাঠানো নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, আগামী ১ জুলাই থেকে বিটিআরসির আগাম অনুমোদন ছাড়া গ্রামীণফোন নতুন কোনো সেবা, প্যাকেজ বা অফার দিতে পারবে না। বিদ্যমান সেবা, প্যাকেজ, অফার পরিবর্তন করতে চাইলেও কমিশনের অনুমোদন নিতে হবে। আর বর্তমানে যেসব সেবা, প্যাকেজ বা অফার চালু আছে, সেগুলো আগামী ৩১ আগস্টের মধ্যে নতুন করে অনুমোদন করিয়ে নিতে হবে।

বিটিআরসি বলছে, টেলিযোগাযোগ ব্যবসায় একক আধিপত্য তৈরির অবস্থা যাতে তৈরি না হয়, তা নিশ্চিত করতে গ্রাহকের স্বার্থে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে গ্রামীণফোন বলেছে, বিটিআরসির এসব নতুন নির্দেশনা বাজারে প্রতিযোগিতার পরিবেশ এবং গ্রাহক স্বার্থের পরিপন্থী।

বিটিআরসি ২০১৯ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি গ্রামীণফোনকে সিগনিফিকেন্ট মার্কেট পাওয়ার (এসএমপি) ঘোষণা করে। ফলে নীতিমালা অনুযায়ী বিজ্ঞাপন দেওয়াসহ কিছু বিধিনিষেধ আরোপিত হয় গ্রামীণফোনের ওপর।

চলতি বছরের মে মাসে করোনা পরিস্থিতির শুরুতে গ্রাহকদের বিনামূল্যে ১০ কোটি মিনিট দেয় গ্রামীণফোন। চিকিৎসকদের জন্যও তারা সাশ্রয়ী ইন্টারনেট প্যাকেজ দেওয়ার ঘোষণা দেয়। প্রতিযোগিতার ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে— এমন আপত্তি তুলে এ নিয়ে বাকি মোবাইল কোম্পানিগুলো আপত্তি জানিয়েছিল।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!