নবজাতকের অপূর্ণ দেহ পড়ে রইল চমেক হাসপাতালের সিঁড়িতে

মায়ের চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যাওয়া এক ব্যক্তি হাসপাতালের উল্টো পিঠে করুণ অবস্থার কথা জানিয়েছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। সেখানে পোস্ট করা বিবরণ ও ছবি দেখে আঁতকে উঠেছেন নেটিজেনরা। অনেকেই মন্তব্য করেছেন, চট্টগ্রামের প্রধান হাসপাতালে এমন চিত্রের দেখা মেলে কিভাবে?

শনিবার (৯ মে) ফেসবুকে শাওন নামের ওই ব্যক্তি লিখেছেন, ‘আজ সকাল আটটায় আমি যখন চমেক হাসপাতাল আসি (মা ভর্তি), তখন এই নবজাতক শিশুটিকে দেখি তৃতীয় তলার সিঁড়ির করিডরের সামনে। এভাবে কে যেন ফেলে চলে গেছে। দেখে বুঝতেই পারছেন এই শিশুটিও হয়তোবা কারও সাময়িক সুখের ফলাফল। কিন্তু আমার অবাক লাগছে এই ভেবে, একটা সরকারি হাসপাতালে কিভাবে সিঁড়ির ওপর এই ধরনের কিছু ফেলে রাখতে পারে? কিছু কর্মচারী আর ডাক্তারকে দেখলাম নাকে কাপড় চেপে লাশটির ওপর থু থু ছিটিয়ে চলে যেতে। যখন তাদের বললাম এটি সরাতে, তারা আমাকে বলতে লাগল— ‘এটা আমার কাজ না, এই ফ্লোরের দ্বায়িত্ব আমার না, ব্লা ব্লা ব্লা…।’ অনেকে আবার আমাকে ভয় লাগাতে লাগলো— ‘এই সবে মাথা ঘামায়েন না। নয়তো বিপদে পড়বেন।’

তিনি লিখেছেন, ‘এই করোনা পরিস্থিতিতে যখন সবাই ভীত ও চিন্তিত। তখন এই ধরনের চিত্র হয়তো সবার নজর এড়িয়ে যায়। কিন্তু এই ধরনের লাশ থেকে ছড়ানো জীবাণু হয়তো কাউকে এড়িয়ে যাবে না। আর সরকারি মেডিকেলের মতো জায়গা যেখানে আমার-আপনার সকলের চিকিৎসাসেবা নিতে আসতে হয়, সেখানে সাধারণ রোগীদের কী অবস্থা হয় বুঝে নেন।’

‘এখানে এরা শুধু ৫০০ টাকার চিকিৎসা সেবা নিতে আসলে ২০০ টাকা চা খরচ নেওয়ার ব্যাপারেই সচেতন’— এমন উল্লেখ করে শাওন নামের ওই ব্যক্তি আরও লিখেছেন, ‘আজ যদি আমরা আওয়াজ না তুলি, তাহলে হয়তো এরকম চিত্র আমাদের প্রায়ই দেখতে থাকতে হবে। আর ওইসব মানুষের কাছে এটা প্রশ্ন— সাময়িক কিছু সুখের জন্য কিছু জীবন এভাবে নষ্ট করার উদ্দেশ্যেই কি আপনাদের বাবা মা আপনাদের জন্ম দিয়েছে?’

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!